'মুকুল' ত্যাগের পর এবার কি 'দলগত প্রয়াস', মমতার ঘোষণার দিকে তাকিয়ে তৃণমূল
দলে মুকুল বিদায়ের পর সেই জায়গা পূরণ করতে এবার টিম ওয়ার্কে জোর দিতে পারে তৃণমূল। বুধবার ২৫ অক্টোবর দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নেত্রীর বক্তব্যের দিকেই তাকিয়ে বাকি তৃণমূল নেতৃত্ব।

সাগর থেকে পাহাড়, দল তথা সরকারের প্রধান একজনই। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল গঠনের পর থেকে ২০১১-তে সরকার গঠন, ২০১৪-র কিছু সময় বাদ দিলে সেই মুকুল রায়ের ওপর ভরসা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। নিন্দুকরা বলেন, মুকুল রায়ের চোখেই রাজ্যকে দেখেছেন তৃণমূল নেত্রী। দলের কাজ থেকে পুলিশ প্রশাসন, প্রায় সবই।
মুকুল রায় দল ছাড়ার পর থেকে তাঁর সঙ্গে সেরকম কেউ দলত্যাগ করেননি। আপাতত এই দলত্যাগে এখনও কোনও প্রভাব পড়েনি দলে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই দলত্যাগে সংগঠনে কোনও প্রভাব পড়বে না। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। মুকুল রায় ভোটের সময় যে গুরু দায়িত্ব পালন করতেন, তা কার কার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে তৃণমূল মহাসচিবের মতো কেউ কেউ টিম ওয়ার্কের ওপরই জোর দিয়েছেন। সম্ভবত সেই পন্থাই নিতে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। ২৫ অক্টোবর দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এ সম্পর্কে ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছেন দলের নেতা-কর্মীরা।
যখন তৃণমূলে পূর্ণ ক্ষমতায় ছিলেন মুকুল রায়, অর্থাৎ অবস্থান ছিল দলনেত্রীর পরেই তখন মুকুল রায়কে নিয়ে কেউই কোনও প্রশ্ন তুলতে পারেননি। তবে তার দলত্যাগের পরেই নানা মন্তব্যে সরব মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জমিদারি কায়দায় মুকুল রায় দল চালাতেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এই মুহূর্তে টিম ওয়ার্কের কথা বলছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলনেত্রীর অনুমতি ছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় এমন বক্তব্য করেন না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাই বুধবারের বৈঠকে কোন ধরনের টিম গঠন করা হয়, সেই টিমে কেকে থাকেন তা-নিয়েও চলছে জল্পনা।
ক্ষমতায় থাকার সুবাদে প্রায় সব বয়সের মানুষই এখন তৃণমূলের সঙ্গে। সেক্ষেত্রে নবীন, মাঝবয়সী এবং প্রবীণ, রয়েছেন সবাই। সেক্ষেত্রে টিম গঠন করার কাজটা খুব একটা কঠিন নয়। বিশেষ করে নবীনদের টিম। রাজ্যের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন ক্ষমতাসীন। তাই ছাত্র-যুবরা সঙ্গেই আছে। আবার টিমে ঢাক না পেলে, তাঁরা যে মুকুল শিবিরে ভিড়তে পারেন সেই কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বকে।