পরকীয়ার এমনই টান, নাটকীয় কায়দায় প্রেমিকা-হরণ করে বিয়ে! একেবারে সিনেমা
সিনেমায় যেমন হয়, তেমনই ঘটন বাস্তবে। বাধা মানল না প্রেম। পরকীয়া তো কী! প্রেমের টানে জোর করে বাড়িতে ঢুকে দরজা ভেঙে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে গেল প্রেমিক।
সিনেমায় যেমন হয়, তেমনই ঘটন বাস্তবে। বাধা মানল না প্রেম। পরকীয়া তো কী! প্রেমের টানে জোর করে বাড়িতে ঢুকে দরজা ভেঙে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে গেল প্রেমিক। তারপর সোজা মন্দিরে গিয়ে সেরে নিলেন বিয়েও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা হাওড়ার মালিপাঁচঘড়ায়। বাধা দিলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েই কাজ সারলেন নাছোড়বান্দা প্রেমিক।
একেবারে তৈরি হয়েই ঢুকেছিলেন প্রেমিকার বাড়িতে। হাতের ছুরি ধরা নিজের গলার কাছে। মুখে বলছেন, বাধা দিলে আত্মহত্যা করব। গলার নলি কেটে। তারপরই দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে প্রেমিকার হাত ধরে হাওয়া। প্রেমিকার ছেলে-মেয়েকেও তিনি গ্রহণ করেছেন। আর এই ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছেন বধূর প্রথম স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
একেবারে ভরা সংসার প্রেমিকার। স্বামী-তিন সন্তান। তবু তিনি হাবুডুবু বছর ৩৫-এর সুরজ সাউয়ের প্রেমে। তাই প্রেমিকের হাত ধরে তিনিও নতুন সংসারে পা রেখেছেন। অস্ত্র হাতে প্রেমিকের এই প্রেমিকা-হরণ পর্ব নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়। খবর পেয়ে পুলিশও উপস্থিত হয়। কিন্তু পরকীয়ায় যখন সায় উভয়েরই কী করবে আর পুলিশ!
বছর দশেক আগে সরস্বতীর বিয়ে হয় নন্দলাল সাউয়ের সঙ্গে। নন্দলাল হনুমান জুটমিলের কর্মী। তাঁদের তিন সন্তানও হয়। মাস পাঁচেক আগে থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। হঠাৎ সরস্বতীয় জীবনে আসে সুরজ। নন্দলাল আঁচ পেয়েছিলেন পরকীয়ার। কিন্তু বিশ্বাস ছিল নন্দলালের, স্ত্রী এমন কিছু করবে না। সেই বিশ্বাসই শেষপর্যন্ত বিশ্বাসঘাতকতা করে। চোখের সামনেই অন্যের বধূ হয়ে চলে যায় স্ত্রী।
সরস্বতীর শাশুড়ি জানান, বউমার চালচলন দেখে অন্যরকম লাগছিল। কাপড় গুছিয়ে রাখছিল। জিজ্ঞাসা করতে বলেছিল গোছগাছ করছি। এসব দেখেই দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন শাশুড়ি। তারপরই আসে সুরজ। দরজা ভেঙে বউমা আর নাতি-নাতনিদের হাত ধরে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে।
এরপর সোজা পাড়ারই শীতলা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে তারা। তখন কেউ কেউ বাধা দিতে এগোচ্ছিল। সুরজ সঙ্গে সঙ্গে ছুরি বের করে নিজের গলায় ঠেকিয়ে বলে, কেউ বাধা দিতে আত্মহত্যা করবে সে। আর কেউ এগোয়নি বাদা দিতে। এরপর তারা পালিয়ে যায় অন্যত্র।