দেবব্রত সরকারের পর রজত মজুমদারকেও সুদীপ্ত সেনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা
সারদা কেলেঙ্কারির জেরে যাঁরা সুবিধা পেয়েছিলেন, সেই তালিকায় রয়েছে রজত মজুমদারের নাম। ১৪ অগস্ট ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত সরকার ও রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন অফিসার রজত মজুমদারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এরপরই দেবব্রত সরকারকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পরেই ফের জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয় রজত মজুমদারকে। এদিন প্রথমে ৪৫ মিনিট মতো সুদীপ্ত সেনের মুখোমুখি বসিয়ে রজতবাবুকে জেরা করে তদন্তকারী অফিসাররা। তারপর ফের একটি ঘরে আলাদাভাবে রজত মজুমদারকে জেরা করেন সিবিআই তদন্তকারী অফিসাররা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিবিআই জানতে পেরেছে আমেরিকায় বঙ্গ সম্মেলনের নাম সুদীপ্ত সেনের থেকে ৪ কোটি টাকা নিয়েছিলেন রজত মজুমদার। পাশাপাশি কোনও চুক্তি ছাড়াই প্রতি মাসে সুদীপ্ত সেনের থেরে ১০ লক্ষ টাকা নিতেন তিনি। সুদীপ্ত সেন কেন এই টাকা রজতবাবুকে দিতেন এবিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। দেবব্রত সরকারের পর কী এবার রজত মজুমদারকেও গ্রেফতার করবে সিবিআই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিন রজত মজুমদারের পাশাপাশি দেবব্রত সরকারের হিসাবরক্ষককেও ডেকে পাঠায় সিবিআই। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। এছাড়াও আমিনারা বলে সারদা গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এক কর্মচারীকেও এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আমিনারা মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে দেবযানীর অ্য়াসিস্টেন্ট হিসাবে কাজ করতেন। যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের হিসাব তিনিই রাখতেন। এমনকী সিবিআই জানতে পেরেছে, একটি লাল ডায়েরি যাতে সারদার সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে যুক্ত প্রভাবশালী নেতাদের নাম রয়েছে তা মিডল্যান্ড পার্কের অফিস থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য ফোনে আমিনারাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন।
এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল ওই ডায়েরিটি বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। যদিও ওই লাল ডায়রির হদিশ জানেন না বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা। তবে কী আমিনারাই ওই গুরুত্বপূর্ণ লাল ডায়েরিটি সরিয়ে ফেলেছিলেন। মূলত লাল ডায়েরিটি কোথায় এবং কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে কত টাকার লেন দেন হতো এই বিষয়গুলি নিয়ে আমিনারাকে এদিন জেরা করে সিবিআই। উল্লেখযোগ্য বিষয়ে ৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আমিনারাকে।