ক্যানিং ও বারুইপুরে বিষমদে মৃত বেড়ে ১১, ভাটি ভেঙে আগুন লাগালেন বাসিন্দারা
বিষমদে মৃত্যু বাড়ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ও বারুইপুরে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এলাকায়। এদিন বিষমদের জেরে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২১ মার্চ : বিষমদে মৃত্যু বাড়ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ও বারুইপুরে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এলাকায়। এদিন বিষমদের জেরে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। নারী-পুরুষ মিলিত হয়ে এলাকার চারটি মদের ভাটিতে ভাঙচুর করে। অগ্নিসংযোগ করে দেওয়া হয় ভাটিগুলিতে। পুলিশ চারজন চোলাই মদ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।
কিছুদিন ধরেই ক্যানিং ও বারুইপুর এলাকায় মদে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। কানিংয়ের শিবনগর, বারুইপুরে এদিন সকালে তিনজনের মৃত্যু হয়। আগে ছ'জনের মৃত্যু হয়েছিল বিষমদকাণ্ডে। এদিন বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থদের মধ্যে আরও দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ জন। আরও অনেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। পুলিশ ঠিকঠাক ভঊমিকা নিলে এই এলাকার চোলাই ভাটি বন্ধ করে দেওয়া যেত। কিন্তু পুলিশ টাকা খেয়ে এই ভাটি চালাতে মদত দেয় বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ ও আবগারি দফতর এইসব চোলাই ভাটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয় না। একটার পর একটা পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে এই মদের কারবারের জেরে। প্রতিদিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এদিন বাসিন্দারাই কোমর বাঁধেন। নারী-পুরুষ মিলিত হয়ে নেমে পড়েন চোলাই উচ্ছেদ অভিযানে। চারটি চোলাই ভাটিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চোলাই মদ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশও সামিল হয়েছে এই অভিযানে। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে বিষমদে অসুস্থদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনারই সংগ্রামপুরে বিষমদ কেড়ে নিয়েছিল ১৪৩ জনের প্রাণ।