বিধানসভায় পাশ হওয়ার পরেও বাংলায় অথৈ জলে গণ-পিটুনি আইন! কারণ নিয়ে প্রশ্ন
বিধানসভায় পাশ হওয়ার পরেও বাংলায় অথৈ জলে গণ-পিটুনি আইন! কারণ নিয়ে প্রশ্ন
একটা সময় গোবলয়ের রাজ্যগুলি থেকে প্রায়ই আসছিল গণ পিটুনির খবর। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং সিএএ-র আবহে ২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা. পাশ করানো হয়েছিল গণপিটুনি বিল। তবে তা এখনও আইনে পরিণত হয়নি। বিধানসভায় পাশ হওয়া ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিল ২০১৯-এ, অভিযোগ প্রমাণে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি জেলের মেয়াদের কথাও বলা হয়েছিল। এক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তিকে মারধরে জড়িতদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী, তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কথাও বলা হয়েছিল।
কারণ নিয়ে প্রশ্ন
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ২০১৯-এ পাশ হওয়ার পরে আইনটি বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এর কারণ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর বিধানগুলি একই বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতার মতো জায়গায় নিয়ে যেতে পারে।
গোবলয়ের মতো না হলেও রাজ্যে গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ
গণপিটুনির ঘটনায় রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ কিংবা বিহারের মতো না হলেও বাংলায় বেশ কিছু গণপিটুনে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে মোবাইল ছিনিয়ে পালানো যুবককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মাস কয়েক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে সন্দেহভাজন চোরকে পিটিয়ে হত্যা, বীরভূমে স্ত্রীকে হত্যার পরে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি পিটিয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে সন্দেহভাজন চোরকে ব্যাপক মারধরের ঘটনাও ঘটেছে।
মনোবিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা
এব্যাপারে মনোবিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা হারানোর কারণেই এই পরিস্থিতি। তবে অনেক ক্ষেত্রেই গণপিটুনির ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলেও মেনে নিচ্ছেন তাঁরা। এব্যাপারে পিছনে থাকা ব্যক্তিরাই লোক জড়ো করে তাঁদের উত্তেজিত করে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন।
আইনজীবীদের অবস্থান
আইনজীবীরা
এর
ব্যাখ্যা
দিতে
গিয়ে
বলছেন,
ভারতীয়
দণ্ডবিধিতে
লিঞ্চিংয়ের
আলাদা
কোনও
সংজ্ঞা
নেই।
এই
ধরনের
ঘটনাগুলি
দণ্ডবিঝির
৩০০
ও
৩০২
ধারার
মাধ্যমে
মোকাবিলা
করা
হয়।
তবে
ব্যাপারে
কেন্দ্রীয়
আইন
আসার
সম্ভাবনা
রয়েছে
বলেই
মনে
করেন
তাঁরা।
তবে
শুধু
আইন
করেই
কি
গণপিটুনি
বন্ধ
করা
যাবে,
তা
নিয়ে
প্রশ্ন
করেছেন
তাঁরা।
এব্যাপারে
প্রশাসন
ঘটনার
সঙ্গে
সঙ্গে
ব্যবস্থা
নিয়ে
কতটা
দক্ষতার
সঙ্গে
পরিস্থিতির
মোকাবিলা
করছে,
তার
ওপরও
বিষয়টি
নির্ভর
করে
বলে
মনে
করছেন
তাঁরা।
আইনজীবীরা
দেশের
বিচারব্যবস্থার
ধীর
গতিকেও
এর
জন্য
দায়ী
করেছেন।
পাশাপাশি
উচ্চ
কিংবা
নিম্ন
আদালতে
বিচারপতি
নিয়োগের
বিষয়টিও
এর
মধ্যে
জড়িয়ে
পড়ছে।
গণপিটুনিতে
অনেক
সময়ই
জড়িয়ে
পড়ে
সম্পত্তি
সংক্রান্ত
প্রশ্নও,
বলছেন
আইনজীবীরা।
ফলে
বর্তমান
আইনের
তাৎক্ষণিক
প্রয়োগের
মাধ্যমেও
পরিস্থিতির
মোকাবিলার
কথা
বলছেন
তাঁরা।
গুজরাত-হিমাচলে নির্বাচনে বিজেপিকে অ্যাডভান্টেজ দিল উপনির্বাচনের ফল, বিরোধীরা সেই তিমিরেই