মমতা চলেছেন পরিচিত ছকে! মোদী-আদানি 'ভাল', অন্যরা খারাপ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য (Bengal Global Business Summit) সম্মেলন আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আদানি-আম্বানির পাশাপাশি কৃষকদের রাখতে চে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য (Bengal Global Business Summit) সম্মেলন আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আদানি-আম্বানির পাশাপাশি কৃষকদের রাখতে চেয়েছেন। যদিও কিছুদিন আগেও এঁদের বিরুদ্ধেই ছিল প্রবল বিরোধিতা। যদিও স্মরণকালের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটি করে আসছেন সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhatterjee) মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই।
মোদী ভাল, অমিত শাহ খারাপ
নোটবাতিল
নিয়ে
নরেন্দ্র
মোদীকে
তৃণমূল
সুপ্রিমো
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আক্রমণ
কিংবা
গত
বছর
তিন
কৃষি
আইন
নিয়ে
কৃষকদের
আন্দোলনের
শুরুতে
আক্রমণ
সকলেরই
জানা।
সবার
কাছেই
এনআরসি
নিয়ে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মোদী
বিরোধিতা
জ্বল
জ্বল
করছে।
আবার
সময়ের
নিরিখে
একটু
পিছনের
দিকে
সরলে
গোধরার
হিংসার
ঘটনার
পরে
নরেন্দ্র
মোদী
ফের
মুখ্যমন্ত্রী
হলে,
তাঁকে
ফুলের
তোড়া
পাঠিয়েছিলেন,
এমনটাই
শোনা
যায়।
তবে
এই
মুহূর্তে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কাছে
নরেন্দ্র
মোদী
ভাল।
দিল্লিতে
বৈঠকে
প্রধানমন্ত্রীকে
দিয়ে
বিশ্ব
বঙ্গ
বাণিজ্য
সম্মেলনে
উদ্বোধনের
জন্য
আমন্ত্রণ
জানিয়ে
এসেছে।
তবে
তৃণমূলের
এই
মুহূর্তে
নিশানায়
অমিত
শাহ।
বিশেষ
করে
বিএসএফ-এর
কাজের
পরিধি
বৃদ্ধি
নিয়ে।
একসময়ে
যে
মোদী
ছিলেন
খারাপ,
উঠতে
বসতে
তাঁকে
নিশানা
করছিলেন,
শুধুমাত্র
গুজরাতের
আধিকারিক,
শিল্পপতিদের
সুযোগ
দেওয়ার
অভিযোগ
করছিলেন,
সেই
মোদীই
এখন
ভাল।
আম্বানি-আদানিও চাই, আবার কৃষকও চাই
গত বছরে সংসদে তিন কৃষি আইন পাশের পরে নভেম্বরে আন্দোলন শুরুর পরে সিঙ্ঘুতে দলের প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে বিরোধীদের অভিযোগ অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন এনেছিলেন মূলত আদানি গোষ্ঠীর জন্যই। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কৃষিপণ্য মজুতের জন্য নাকি আদানি গোষ্ঠী রাজ্যে রাজ্যে জায়গাও তৈরি করে ফেলেছিল। দলের নীতি অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র নিশানা করেছিলেন গৌতম আদানিকে। আর তিন আইন প্রত্যাহারে পরে মুম্বইয়ের বিশিষ্টজনেদের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন আদানি-আম্বানি চাই, আবার কিষাণও চাই। শেষে নবান্নে এসে আদানির বৈঠক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
বাজপেয়ী ভাল, আডবাণী খারাপ
তৃণমূল গঠনের পরে ১৯৯৯-এর সাধারণ নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এনডিএ সরকারে মন্ত্রীও হন। সেই সময় তাঁর কাছে প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী ছিলেন ভাল আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আডবাণী ছিলেন খারাপ। তৃণমূলের প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসু তাঁর বই অ্যান, আইটসাইডার ইন পলিটিক্স বইয়ে লিখেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পরে লোকসভা আনা অনাস্থায় দলীয় সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, এনডিএ সরকারকে কিছুতেই ফেলা যাবে না। ভাল বাজপেয়ীর কুর্সিতে যাতে থাকতে পারেন, তা দেখতে হবে। সেই কারণে গুজরাতের ওপরে আনা অনাস্থায় সরকারকে সমর্থন করতে হবে। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী এই মুহূর্তে আডবাণীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কও খুবই ভাল।
জ্যোতি বসু ভাল, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য খারাপ
বুদ্ধদেব
ভট্টাচার্যের
বাম
মন্ত্রিসভা
ত্যাগ
নিয়ে
অবস্থানকে
সমর্থন
করার
সময়
তিনি
ছিলেন
ভাল,
আর
তৎকালীন
মুখ্যমন্ত্রী
জ্যোতি
বসু
ছিলেন
খারাপ।
কিন্তু
২০০১-এর
বিধানসভা
নির্বাচনের
প্রায়
বছর
খানেক
আগে
রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রী
হন
বুদ্ধদেব
ভট্টাচার্য।
২০০১
সালের
পরে
২০০৬
সালেও
জয়
এবং
রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রী
বুদ্ধদেব
ভট্টাচার্য।
সেই
সময়
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
একাধিকবার
জ্যোতি
বসু
কাছে
ছুটে
গিয়েছেন
এবং
বুদ্ধদেব
ভট্টাচার্যের
বিরুদ্ধে
অভিযোগ
জানিয়েছেন।
বিশেষ
করে
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম
পর্বে।
এরপর
অবশ্য
বুদ্ধদেব
ভট্টাচার্য
ক্ষমতা
হারান।
সূর্যকান্ত
মিশ্র
সিপিএম
রাজ্য
সম্পাদক
হওয়ার
পরে,
বুদ্ধদেব
ভট্টাচার্য
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কাছে
ভাল
হয়েছেন,
আর
খারাপ
হয়েছেন
সূর্যকান্ত
মিশ্র।
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা
বলেছেন,
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কে
রিড
করাই
কঠিন,
কেননা
সবার
সামনেই
জ্বল
জ্বল
করছে,
কিছু
দিন
আগে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
অভিযোগ
ছিল,
দেশ
থেকে
শিল্প
তাড়িয়েছেন
মোদী।
সেই
মোদীকেই
২০২২-এর
বিশ্ব
বঙ্গ
শিল্প
সম্মেলন
উদ্বোধন
করতে
আমন্ত্রণ
জানিয়েছেন
বাংলার
মুখ্যমন্ত্রী।
২০২৪-এ সম্ভাব্য চার শক্তির লড়াই! নিশ্চিত ক্ষমতা দখলের পথে বিজেপির