পুণ্যস্নানে জনপ্লাবন গঙ্গাসাগরে, ৬০টি স্ক্রিনে তীক্ষ্ণ নজরদারি ৫০০ সিসিটিভি-ড্রোনের
রাত পোহালেই সাগরে পুণ্যস্নান। গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনে ইতিমধ্যেই থইথই করছে জনপ্লাবন। এই ভিড় সামলাতে তৈরি প্রশাসনও। সমস্ত আটঘাট বেঁধেই নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা সম্পূর্ণ।
রাত পোহালেই সাগরে পুণ্যস্নান। গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনে ইতিমধ্যেই থইথই করছে জনপ্লাবন। ভিড় জমতে শুরু করেছিল দিন তিনেক ধরেই। এই মুহূর্তে পা রাখার জায়গা নেই। এই ভিড় সামলাতে তৈরি প্রশাসনও। সমস্ত আটঘাট বেঁধেই নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা সম্পূর্ণ।
সিসিটিভি-ড্রেনের নজরদারি সাগরে
গত দশ বছরের আমূল বদলে যাওয়া গঙ্গাসাগরে এবার আরও জোরদার হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা, আটটি ড্রোনের নজরদারির মধ্যেই হবে পুণ্যস্নান। এখানেই বজ্র আঁটুনির শেষ নয়, কন্ট্রোল রুম থেকে ৬০টি স্ক্রিনও নজরদারি চালাবে।
সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং
কলকাতার বাবুঘাট থেকে শুরু করে গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া ও মেলাপ্রাঙ্গন পর্যন্ত রাস্তায় লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। অন্যান্য বছরের থেকে এ বছরের মেলায় নজরজারির মাত্রা অনেক বেশি। মনিটরিং শুরু হয়ে গিয়েছে আগে থেকেই। কোথাও কোনও সমস্যা দেখলেই চটজলদি সমাধান করা হচ্ছে। ঝাঁপিয়ে পড়ছে নিরাপত্তা-বাহিনী।
ভেসেলে জিপিএস প্রযুক্তি
সেইসঙ্গে মুড়িগঙ্গা পারাপারের জন্য ভেসেলগুলিতে ব্যবহার করা হচ্ছে জিপিএস প্রযুক্তি। কোন ভেসেল কোথায় রয়েছে, এই নয়া প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে কন্ট্রোল রুম থেকেই জানা যাবে। জানা যাবে কোনও সমস্যা তৈরি হল কি না। দুর্ঘটনা এড়াতেই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ। থাকছেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। বজ্র আঁটুনিতে কোথাও ফসকা গেরো যাতে না থাকে, তার জন্য সব ব্যবস্থা সারা।
জেলা প্রশাসনের বজ্র আঁটুনি
পুণ্যস্নানের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর কর্মী মোতায়েনও করা হয়েছে। শুক্রবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, এই বছর ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই মেলায় জমায়েত হবে। সেই কারণেই যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সে ব্যাপারে তটস্থ জেলা প্রশাসন। আমরা রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে সমস্ত ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করতে পেরেছি।
নির্বিঘ্নে পূণ্যস্নানের ব্যবস্থায় তদারকি
ইতিমধ্যে অনেকেই পৌঁছে গিয়েছে। তাঁদের রক্ষণবেক্ষণের সমস্ত ব্যবস্থা প্রস্তুত। এখনও অনেকে আসছেন। আসছেন ভিনরাজ্যের অনেক পুণ্যার্থীও। নির্বিঘ্নে এই মেলার কর্মকাণ্ড সমাধা করতে সবরকমের প্রস্তুত প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মন্ত্রীরাও তদারকিতে রয়েছেন। কোনওরকম ফাঁক যাতে না থাকে, তার ব্যবস্থা করতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রীও।