মুকুল 'যোগে' মাথা চাড়া 'নতুন' জনসাধারণের কমিটির! ঘুম ছুটেছে মমতার দলের
জঙ্গলমহলে মাথা চাড়া দিয়েছে নতুন জনসাধারণের কমিটি। নাম আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চ। বাম আমলের শেষ ভাগে গড়ে ওঠা পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির অনেকেই এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবব
জঙ্গলমহলে মাথা চাড়া দিয়েছে নতুন জনসাধারণের কমিটি। নাম আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চ। বাম আমলের শেষ ভাগে গড়ে ওঠা পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির অনেকেই এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চ। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, জঙ্গলমহলে এই তৎপরতার পিছনে রয়েছেন মুকুল রায়।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে জঙ্গলমহলে তৎপরতা দেখা গিয়েছিল আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চের। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার বহু আসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ে সাফল্যও পায় তারা। পরবর্তী সময়ে গতমাসে জঙ্গলমহলে রেল ও রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন তারা। দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল সাঁওতালি ভাষায় পঠনপাঠনের সুযোগ বাড়ানোর। দিনভর ওই অবরোধের জেরে দুর্ভোগে পড়েছিলেন যাত্রীরা। অবরোধ তুলতে প্রশাসনকে কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছিল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই অবরোধ আন্দোলনের পরেই রাজ্যের গোয়েন্দারা খোঁজখবর শুরু করেন। জানা যায়, একসময়ে জঙ্গলমহলের পুলিশ সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির অনেকেই এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। সেই সময়কার সংগঠনের নেতা ছ্ত্রধর মাহাত এখন জেলে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোয়েন্দাদের ইঙ্গিত, আগেকার মতো এখনও এই সংগঠনের দু-একজন সরাসরি মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত। একইসঙ্গে আরও ইঙ্গিত সংগঠনের কেউ কেউ আবার বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন।
সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার গঠনের পর নন্দীগ্রাম থেকে জঙ্গলমহল, বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে মাওবাদীদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় তাদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী তৎকালীন জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাত সঙ্গে জঙ্গলমহলে গিয়ে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। এবার ক্ষমতায় তৃণমূল। আর ক্রমে শক্তিশালী হয়ে ওঠা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে বর্তমানের আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করার।