মমতার সুরে কথা বলছেন অধীর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নিশানায় মোদী
তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী উভয়েই একযোগে রাজস্থানে মালদহের যুবককে নারকীয় খুনের ঘটনায় বিদ্ধ করলেন বিজেপিকে।
রাজ্য রাজনীতিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বরাবরই মমতা-বিরোধী বলেই পরিচিত ছিলেন। আজও তাই। তবু সাম্প্রতিক একটিু ইস্যু তাঁদের আবার মিলিয়ে দিল। তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অদীর চৌধুরী উভয়েই একযোগে রাজস্থানে মালদহের যুবককে নারকীয় খুনের ঘটনায় বিদ্ধ করলেন বিজেপিকে। উভয়েরই নিশানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাজস্থানে কাজ করতে গিয়ে মালদহের বাসিন্দা আফরাজুল নৃশংসভাবে খুন হন। তাঁকে ধারালো অস্ত্রের কোপে ক্ষতবিক্ষত করে প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির 'লাভ জেহাদে'র তত্ত্ব বলে সাড়া পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। আর এই 'লাভ জেহাদে'র কারণেই টার্গেট হয়ে গিয়েছে বিজেপি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে যেমন ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন, পরিবার বাঁচাতে চাকরির বন্দোবস্ত করেছেন, তিন মেয়ের পড়াশোনার বন্দোবস্ত করেছেন, তেমনই এই নারকীয় কাণ্ডের জন্য তোপ দেগেছেন বিজেপি-র হিংস্র রাজনীতিকে। তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম করে অস্ত্র হাতে মিছিলকে দায়ী করেছেন এই ধরনের নির্মম ঘটনার জন্য।
এবার রাজস্থানে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অধীর চৌধুরী তোপ দাগলেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে। এই খুনের প্রতিবাদে বহরমপুরে যুব কংগ্রেসের ডাকে একটি মিছিলে অংশ নেন। এই মিছিলে অংশ নিয়েই তিনি জানান, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে আমরা ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা শুনেছিলাম। কিন্তু বাস্তবে দেখছি, ডিজিটাল ইন্ডিয়া তো দূর অস্ত, এখন দেখছি মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়া এখন উল্টো রথে চড়ে মধ্যযুগের দিকে 'এগিয়ে' চলেছে।'
তাঁর কথায়, 'বিজেপি দেশজুড়ে 'লাভ জেহাদ'-এর জেরে হিংসা ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক যদি কেউ কাউকে বিয়ে করে, তবে সমাজের বা রাষ্ট্রের বলার কী আছে! কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সবকিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর তার অন্যথা হলেই যে করে হোক দমন-পীড়ন চালাচ্ছে ওরা। প্রয়োজনে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় ফিরে যেতেও কসুর করছে না। এর প্রতিফল গুণতে হবে বিজেপিকে। বিজেপির অপশাসনের শীঘ্রই বিনাশ ঘটবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়।'