মোদীর সঙ্গে গোপন বৈঠকের পরেই চুপ ইডি, বিস্ফোরক অভিযোগের পর মমতাকে চ্যালেঞ্জ করে তিন বাণ অধীরের
মোদীর সঙ্গে গোপন বৈঠকের পরেই চুপ ইডি, বিস্ফোরক অভিযোগের পর মমতাকে চ্যালেঞ্জ করে তিন বাণ অধীরের
মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (abhishek banerjee) অধীর চৌধুরীর (adhir chowdhury) গড় বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদে গিয়ে কংগ্রেসকে বিজেপির সাগরেদ বলে আক্রমণ করেছিলেন। এদিন তারই জবাব দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। গোপনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর (narendra modi) সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগও তিনি করেছেন।
চুপ কেন ইডি
কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ি শান্তিনিকেতনে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যানিকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কিন্তু তারপর থেকেই চুপ হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সেই ঘটনা নিয়ে তোপ দেগেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, দিদি' আর 'ভাইপো', দুজনকে পরামর্শ, আয়নার সামনে দাঁড়ান আর জিজ্ঞাসা করুন - নরেন্দ্র মোদির কাছে একা একা 'দিদি' গিয়ে কদিন আগে কী আলোচনা করে এলেন ? 'ভাইপো' আর পরিবারের একজনকে ইডি জিজ্ঞাসা করার পরেই সব চুপ চাপ হয়ে গেল কেন?
গোধরা কাণ্ডের পর লাল গোলাপ কেন
অধীর চৌধুরী প্রশ্ন করেছেন, গোধরা কাণ্ডের পর নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হলেন, তখন 'দিদি' লাল গোলাপের গুলদস্তা পাঠিয়েছিলেন কেন? প্রসঙ্গত ২০০২ সালে গুজরাতে গোধরায় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই সময় কেন্দ্রে ছিল অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকার। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীরে লাল গোলাপ পাঠিয়েছিলেন। যা নিয়ে এখনও বিরোধীরা নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
দ্বিতীয়বার সাহায্য করবেন নাতো?
১৯৯৯-এ কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে সমর্থন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই কথাই তুলে ধরে অধীর চৌধুরী বলেছেন, বিজেপির সরকার চালানোর যে সুখ 'দিদি' পেয়েছেন তাতে দ্বিতীয়বার সরকার গড়তে বিজেপিকে সাহায্য করবেন না তো? পাশাপাশি তিনি বলেছেন. হিম্মত থাকলে গর্জে বলুন, আগে বিজেপি কে সাহায্য করে তিনি(মমতা) ভুল করেছেন, এই ভুল আর হবে না।
সংসদে সিএএ বিরোধিতায় কেন ভোট নয়
২০১৯-এর শেষের দিকে সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন পাশ হয়েছিল। কিন্তু সেই বিল পাশ হওয়ায় সময় সংসদে বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি তৃণমূল। এদিন সেই ঘটনাকে তুলে ধরে অধীর চৌধুরী বলেছেন, সিএএ বিরোধিতায় ভোট দেয়নি 'ভাইপো'রা, হ্যাঁ কি না বলুন ? কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, কাকে এনআরসি আর কাকে সিএএ বলে তা তৃণমূল জানে না।
ভার্চুয়াল বিতর্কের চ্যালেঞ্জ
একইসঙ্গে অধীর চৌধুরী এদিন চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, 'দিদিভাই' একবার তাঁর (অধীর) সঙ্গে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বিতর্কে বসুন। সেখানে যদি তাঁর (অধীর) সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন, তাহলে তাদের কোনও প্রার্থীর হয়ে ভোট চাইবেন না। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ক্ষমতা আছে অগ্নিকন্যা ? তিনি কি ভীরু, আদৌ কি হিম্মত আছে প্রশ্ন করে অধীর চৌধুরী বলেছেন তিনি সব সময় তৈরি।
অক্সিজেন চাহিদা তুঙ্গে দিল্লির হাসপাতালগুলিতে, সরবরাহের পরও মেটেনি সমস্যা