রিভার্স সুইং কাজ করতে শুরু করেছে! অধীরের হাত ধরে ‘আচ্ছে দিনে’র অপেক্ষায় কংগ্রেস
প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব ছেড়ে তিনি ফিরেছেন মুর্শিদাবাদে। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে ফের 'রবিনহুড' হয়ে ওঠার লড়াই। অধীর চৌধুরী মুর্শিদাবাদে নিজের গড়ে পা দিয়েই শুরু করে দিলেন কাজ। শুভেন্দু অধিকারীর চিন্তা বাড়িয়ে তৃণমূল থেকে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের ভাঙিয়ে এনে কংগ্রেসের শক্তিবৃদ্ধিতে মন দিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

কংগ্রেসের ‘আচ্ছে দিন’
একার হাতে ফের মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের ‘আচ্ছে দিন' ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তিনি। আর সেই কাজে ব্লকে ব্লকে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে অধীর চৌধুরী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তৃণমূলকে। শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে জানিয়ে দিলেন, মুর্শিদাবাদ থেকে একটা আসনও তৃণমূল নিয়ে যেতে পারবে না।

বুয়া-বাবুয়াকে কটাক্ষ
তৃণমূল ভেঙে অধীর বলেন, বুয়া-বাবুয়া এখন স্বপ্ন দেখছেন একযোগে দেশ ও রাজ্য চালানোর। সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়েই রয়ে যাবে। বুয়ার দেশ চালানোও হবে না, আর বাবুয়ার রাজ্য চালানোও হবে না। তিনি ব্রিগেডকে তৃণমূলের পিকনিক বলে কটাক্ষ করেন। মমতাকে বলেন, আগে তিনি ছিলেন মা-মাটি-মানুষের নেত্রী, এখন তিনি লুঠরাজের নেত্রী।

রিভার্স সুইং কাজ করছে
অধীর আরও বলেন, রিভার্স সুইং কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। তা ব্রিগেড করে বা প্রশাসন দিয়ে থামানো যাবে না। তাঁর কথায়, এই প্রবণতা স্বতঃস্ফূর্ত, তা রোধ করার সাধ্যি নেই কারও। যত লোকসভা এগিয়ে আসবে, ততই ছবি স্পষ্ট হয়ে যাবে।

পদ্মার ভাঙন তৃণমূলে
অধীর চৌধুরী এদিন তৃণমূলের ভাঙনকে পদ্মার ভাঙনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলে কেউ থাকবে না। মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। এবার পদ্মার ভাঙনের রূপ নেবে অচিরেই। আর তৃণমূলে কেউ থাকবে না। থাকবে শুধু কয়েকটা চোর আর লুটেরা। এই জেলায় তৃণমূল তছনছ হয়ে যাবে। এই জেলায় একটা আসনও তৃণমূল কংগ্রেস পাবে না।

কংগ্রেসের পালে হাওয়া
অধীর চৌধুরী নিজ হাতে কর্মীদের দলে ফিরিয়ে রাজ্যের বলেন, ফের কংগ্রেসের পালে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শাসকদল ছেড়ে কর্মীরা ফিরছেন কংগ্রেসে। প্রায় সমস্ত ব্লকেই দলবদলের পালা চলছে। উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে অধীররঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে য়োগদান করলেন হাজারের বেশি কর্মী।