বিজেপিকে বাংলায় আনল তৃণমূল আর উত্থান ঘটাচ্ছে সিপিএম, বিস্ফোরক অধীর
‘রাজ্যে যখন বিকল্প একটা বিরোধী শক্তি তৈরি হচ্ছিল, তা অঙ্কুরেই বিনাশ করেছে সিপিএম। যার জেরে উত্থান ঘটছে বিজেপির।’ মত অধীর চৌধুরীর।
বাংলায় তৃণমূলের বিকল্প শক্তি কে হবে? পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে তা নিয়েই এখন জোর লড়াই। রাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের জায়গা নেওয়ার চেষ্টা করছে সিপিএম ও বিজেপি। তবে খাতায় কলমে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এ রাজ্যের কাণ্ডারি অধীর চৌধুরীর ব্যাখ্যা কিন্তু অন্যরকম। তিনি বলছেন, 'রাজ্যে যখন বিকল্প একটা বিরোধী শক্তি তৈরি হচ্ছিল, তা অঙ্কুরেই বিনাশ করেছে সিপিএম। যার জেরে উত্থান ঘটছে বিজেপির।'
[আরও পড়ুন:যুব তৃণমূল করতে হবে তৃণমূলকর্মীকে! অদ্ভুত দাবিতে এখন আগুন জ্বলছে শাসকদলে]
অধীরের মতে, 'রাজ্যে বিজেপি কোনও জায়গাই করতে পারত না সিপিএমের বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া। বাংলার মানুষ তৃণমূলের বিকল্প শক্তি হিসেবে বাম-কংগ্রেসকে জোটকে মেনে নিতে শুরু করেছিল। তখনই সেই জোটকে সমূলে উৎখাত করল সিপিএম।' রবিবার কেন্দ্রীয় কমিটি শেষমেশ কংগ্রেসের হাত ধরার বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই মত পোষণ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর।
অধীরের কথায়, 'তৃণমূলের হাত ধরে বিজেপি রাজ্যে এলেও কোনও দাঁত ফোটাতে পারেনি এতদিন। এবার তাঁদের সেই সুযোগটা করে দিল সিপিএম। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়ে বিজেপিকে শূন্য জায়গা করে দিল তারাই। বিগত ভোটগুলিতে দেখা গিয়েছে, সিপিএমের ভোটেই বাড়ছে বিজেপি। এবার পুরোপুরি সেই সুযোগ করে দিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।'
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মনে করেন, 'সিপিএমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তৃণমূলের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা গিয়েছে, সিপিএমের গুন্ডা-বদমাশরা সব আশ্রয় নিয়েছে তৃণমূলের ছত্রছায়ায়। সিপিএম আগের তুলনায় পরিশুদ্ধ হয়েছে। সেই সিপিএমের সঙ্গেই আমরা জোট গড়েছিলাম। কিন্তু সেই জোট ভেঙে মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ করেছে সিপিএম।'
রাজ্যে এখন শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু প্রকৃত অর্থেই বিরোধী ক্ষেত্রে শূন্যতা গ্রাস করছে। বিস্তর ফারাক তৈরি হয়েছে শাসক-বিরোধীর মধ্যে। সেই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। এখন তাদের আটকানোর মতো কেউ নেই। বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এটাই নির্মম বাস্তব। আমি মনে করি, কংগ্রেস ছাড়া বিজেপিকে রোখার ক্ষমতা কারও নেই। সিপিএম একা লড়তে গিয়ে বিজেপিকে আরও বেশি জায়গা করে দিল। প্রমাণিত হয়েছে সবং-এ। এবার উলুবেড়িয়া ও নোয়াপাড়া-যুদ্ধ কী ইঙ্গিত দেয়, তা-ই দেখার।
[আরও পড়ুন:হঠাৎ অসুস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সরস্বতী পুজোর মঞ্চ থেকে সোজা হাসপাতালে দিলীপ ]