প্রণবের আরএসএস যাত্রা নিয়ে মুখ খুলবেন পুত্র অভিজিতও, অধীরের কথায় জল্পনা
অধীর চৌধুরী বলেছেন, আরএসএস ইভেন্টে প্রণবের উপস্থিতি কংগ্রেসকে আক্রমণ করার জন্য বিজেপি কে মশলা দেবে । তাই অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়েরও ওই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলা উচিত।
নাগপুরে আরএসএস-এর সদর দফতরে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা আদ্যন্ত কংগ্রেসম্যান প্রণব মুখোপাধ্যায়ের যাওয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন তাঁর কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। তাঁর মতো প্রণব পুত্রেরও বাবার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খোলা উচিত বলে জানালেন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি।
বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাতকারে অধীর বলেন, 'প্রণব মুখার্জিকে জনপ্রিয় নেতা বলা যাবে না কোনদিনই। তিনি বরাবর তাঁর জ্ঞানের জন্যই পরিচিত। উনি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর মাঝে দল ছেড়ে বেরিয়ে নিজের দলও গড়েছিলেন। পরে আবার ফিরেও আসেন। আমরা তাঁকে মুর্শিদাবাদে ভোটে দাঁড় করিয়েছিলাম। তিনি ভোলাভালা মানুষ নন, ভারতীয় রাজনীতি নিয়ে তাঁর প্রখর জ্ঞান আছে। একমাত্র উনিই বলতে পারবেন কেন তিনি নাগপুর যাচ্ছেন।'
তবে প্রণববাবুর এই সিদ্ধান্ত যে অন্তত পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির হাতে বড় সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, 'রাজ্যে ক্ষমতা বাড়াচ্ছে বিজেপি। এর মধ্যে প্রণববাবুর মতো একসময়ের ডাকসাইটে কংগ্রেস নেতা আরএসএস-এর সদর দফতরে যাচ্ছেন। রাজ্যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এরকম মশলা তো বিজেপি কাজে লাগাবেই। বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দল নিশ্চয়ই প্রণববাবুকে নিয়ে জলঘোলার রাজনীতি করবে।'
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন স্বয়ং প্রণব-পুত্র অভিজিত মুখোপাধ্যায়ই। পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গিপুর আসনের তিনি সাংসদ। অধীরের মতে অভিজিতও নিশ্চয়ই বাবার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন। নাহলে অবশ্যই পরের বছর লোকসভা নির্বাচনে তাঁর ক্ষতি হবে। মানুষকে ভুল বোঝানোর সুযোগ পেয়ে যাবে বিজেপি। তাই অভিজিতের আগে থেকেই নিজের অবস্থানটা স্পষ্ট করে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন অধীর।
এর আগে অবশ্য টুইটারে সোনিয়া-ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। একের পর এক টুইটে প্রকাশ্যেই বাবাকে সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ও।