ভোট ভরাডুবির পর আব্বাসদের সঙ্গে ভবিষ্যতে জোট ধরে রাখা নিয়ে মুখ খুলেই বোমা ফাটালেন অধীর
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের মঞ্চে কংগ্রেস ২০২১ সালে কার্যত চরম ভরাডুবির মুখোমুখি হয়েছে। শতাব্দী প্রাচীন এই দলের ভোট পরীক্ষার কাটাছেঁড়া এদিন হয়েছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। এদিকে ভোটের আগে বাংলার বুকে অধীর শিবিরের জোট অঙ্ক নিয়ে হাইকমান্ডের যথেষ্ট নজর ছিল। সেই জায়গা থেকে বঙ্গ কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাসের আইএসএফের জোট নিয়ে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আনন্দ শর্মার সমালোচনার মুখেও পড়তে দেখা যায় অধীরবাবুকে। এরপর আজ আইএসএফ নিয়ে মুখ খুললেন এই নেতা।
অধীরের স্পষ্ট বার্তা
অধীর চৌধুরী এদিন সাফ বার্তায় জানান, ' আমি আর কোনও দিনওই আইএসএফের সঙ্গে জোটে থাকব না।' সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এদিন অধীর চৌধুরী এই বার্তা দেন। প্রসঙ্গত, ভোটের আগে আসন বণ্টন নিয়ে আইএসএফ ও কংগ্রেসের মধ্যে প্রবল সংঘাত দেখা যায়। তারপর এই জোট অঙ্কে দুই পক্ষ রাজি হলেও তার ফলাফল বাংলার বুকে স্বস্তি দেয়বি অধীর শিবিরকে।
বামেদের প্রসঙ্গে বার্তা
এদিন অধীর চৌধুরী সাফ বার্তার বলেন, এর আগে তিনি বামেদেরও বলেছিলেন যে আইএসএফের হাত না ধরতে। তবে ততদিনে বামেরা জোটের বিষয়ে আব্বাসদের সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ায়, সেই রাস্তা থেকে সরে আসতে পারেনি। এমনই বক্তব্য জানান অধীর চৌধুরী। এর সঙ্গেই বঙ্গ কংগ্রেসের নেতার বার্তা 'এবার ফলাফল দেখুন!'
আব্বাসদের ভোটঅঙ্ক
বাংলার বুকে ৩৪ বছর শাসন করেছে বামেরা। তার আগে কংগ্রেসের সরকারের দাপট দেখেছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি। এই দুই তাবড় পার্টির সঙ্গে ২০২১ বিধানসভা ভোটের জোটে যুক্ত হয় আইএসএফ। এদিকে, ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, বামেরা ও কংগ্রেস দুই শিবিরই বাংলায় খাতা খুলতে পারেনি। অন্যদিকে, ভাঙড় দখল করে আব্বাসের আইএসএফ কার্যত নবগঠিত পার্টি হয়ে কেল্লা ফতে করে দেয়।
জোট নিয়ে অধীর বার্তা
অধীর চৌধুরীর দাবি, মোর্চার পতন বাংলায় অবিশ্যম্ভাবী ছিল। কারণ এই জোটকে মানতেই চাননি বাংলার মানুষ। প্রসঙ্গত, এবারের ভোটের আগেই মালদা থেকে মুর্শিদাবাদের আসন অঙ্ক নিয়ে সংযুক্ত মোর্চার মধ্যে কংগ্রেস বনাম আইএসএফ দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হয়। অন্যদিকে ব্রিগেডের মাঠে মোর্চার সভায় অধীরের বক্তৃতার সময় আব্বাসের প্রবেশ ঘিরে কিছু দৃশ্য রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের নজর কাড়ে। সেই জায়গা থেকে ভোট পরবর্তী পর্যায়ে অধীর চৌধুরীর বক্তব্য বিশেষভাবে বার্তাবহ।