হাইকমান্ডের সিলমোহরের পরেও জোট নিয়ে সময়ের দৌড়ে 'পিছিয়ে' কংগ্রেস! পরিস্থিতি নিয়ে উষ্মা বাম শিবিরে
কংগ্রেস (congress) হাইকমান্ড রাজ্যে বামেদের (left) সঙ্গে জোট নিয়ে সিলমোহর দেওয়ার পরেই জোটে জট অব্যাহত। এমনটাই খবর সূত্রের। তৃণমূল এবং বিজেপি পুরোদমে রাস্তায় নেমে পড়লেও, বাম, কংগ্রেস নেতাদের একসঙ্গে পরপর সেরকম কোনও কর্মসূচি নিতে এখনও দেখা যায়নি। পাশাপাশি বামেদের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে এখনও আলোচনা এগোয়নি বলেও জানা গিয়েছে।

বামেদের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আলোচনা এগোয়নি
গতমাসেই কংগ্রেস হাইকমান্ড বামেদের সঙ্গে জোটে সিলমোহর দিয়েছেন। কিন্তু একদিকে যেমন দুদনের নেতাদের যৌথ কর্মসূচিতে সেরকমভাবে দেখা যায়নি, ঠিক তেমনই আসন রফা নিয়ে আলোচনা এগোয়নি। তবে দুপক্ষের দফায় দফায় বৈঠকে কিছু যৌথ কর্মসূচি ঠিক হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। বাম নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, দুপক্ষের মধ্যে একের পর এক বৈঠক হলেও, আসন রফা নিয়ে কংগ্রেস তাদের অবস্থান এখনও স্পষ্ট করেনি। দুপক্ষের সর্বশেষ বৈঠকটি হয়েছে বৃহস্পতিবার। সেখানেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না হওয়ায় বাম শিবির উষ্মা প্রকাশ করেছে। তাদের মতে নির্বাচনী প্রস্তুতির সময় চলে যাচ্ছে।

জেলা থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরে দলে আলোচনা
আসন রফা নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেছেন, বেশ কয়েকটি জেলা থেকে কংগ্রেসের তরফে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। সবকটি জেলা থেকে রিপোর্ট আসার পরে বিষয়টি নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসে আলোচনা করা হবে। তারপরে দলের অবস্থান ঠিক করে বামেদের সঙ্গে আলোচনা করবে প্রদেশ কংগ্রেস। তবে অধীর চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে জেলা সভাপতি এবং জেলার পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন।
এর আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেছিলেন, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ৯০ টি আসনে লড়াই করে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ টি আসন। অন্যদিকে বামরা মাত্র ৩২ টি আসন পেয়েছিল ২০০ টি আসনে লড়াই করে। আর লোকসভায়ট কংগ্রেস পেয়েছিল দুটি, বামের একটিও পায়নি। ফলে জোটে কংগ্রেসের শক্তিতে বেশি হবে তার ইঙ্গিত করেছিলেন তিনি।

জোটে কোনও সমস্যা নেই
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, জোট নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। যৌথ কর্মসূচি তারা সামিল হচ্ছেন। অন্যদিকে তৃণমূল ও বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে তারা কোনও কথা বলছেন না। একদল অপর দলকে আক্রমণ করেই শান্ত হয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দাবি রাজ্যের তৃতীয় শক্তি মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা পাচ্ছে।

যৌথ কর্মসূচির দায়িত্ব মান্নান, প্রদীপ
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, বামেদের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছেন আব্দুল মান্নান, প্রদীব ভট্টাচার্য। অন্যদিকে রয়েছেন, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র। অরুণাভ ঘোষের মতো নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কাঁথিতে গিয়ে সভা করেছেন মহঃ সেলিম। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মত, তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে যেভাবে এই মুহুর্তে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল এই জোটের সেভাবে তাদেরকে দেখা যাচ্ছে। সময়ের নিরিখেই তারা পিছিয়ে পড়ছেন।