
Jhalda Municipality: ঝালদা নিয়ে হস্তক্ষেপ করুন! রাজ্যপালের কাছে চিঠি দিয়ে দাবি অধীর চৌধুরীর
ঝালদা পুরসভার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে রাজপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত শুক্রবার রাজ্য সরকারের পরামর্শে রাজ্যপাল ঝালদায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছুয়ারকে।

ঝালদা পুরসভার বর্তমান অবস্থা
শুক্রবার রাজ্যপালের আদেশ বলে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছুয়ারকে। পুর আইন মেনেই এই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। ১২ আসনের ঝালদায় ৫ টি করে আসন জয় করে তৃণমূল ও কংগ্রেস। বাকি দুটি আসনে জয় পান নির্দল কাউন্সিলররা। মধ্যে কংগ্রেস কাউন্সিলক তপন কান্দু খুন হয়ে যাওয়া এবং পরে সেই আসনে জয়ী হন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। দুই নির্দল তৃণমূলের ওপর থেকে সমর্থন তুলে কংগ্রেসকে সমর্থন দেওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় কংগ্রেস। চেয়ারম্যান নিয়ে কংগ্রেসের প্রস্তুতির মধ্যে আসে জবা মাছুয়ারকে নিয়ে সরকারি নির্দেশ। তাঁকে ঝালদা পুরসভার প্রশাসক পদে বসানোর কথা জানায় সরকার।
কংগ্রেস পাল্টা শনিবার নির্দল কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করার কথা ঘোষণা করে। যা নিয়ে ঝালদায় তৈরি হয়েছে জটিল রাজনৈতিক সমীকরণ।

আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি কংগ্রেসের
ঝালদা পুরসভায় সরকারি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে কংগ্রেসের তরফে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত ঝালদা নিয়ে সরকারি ঘোষণার দিনই কলকাতা হাইকোর্টের রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ জানায়, বুধবার পর্যন্ত কংগ্রেসের ৪ এবং ২ নির্দল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ।

কংগ্রেসকে হুমকির অভিযোগ
এদিন রাজ্যপালের কাছে পাঠানো চিঠিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী লিখেছেন, ঝালদা পুরসভায় হারের ইঙ্গিত পেয়েই তৃণমূল সেখানে সন্ত্রাস চালাচ্ছে এবং ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। চিঠিতে দলের কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুনের অভিযোগ করে তার সিবিআই তদন্তের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এব্যাপারে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাঁর (রাজ্যপাল) হস্তক্ষেপ দাবি করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি করেছেন তিনি।

রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি চিঠিতে ২১ নভেম্বর ঝালদা নিয়ে হাইকোর্টে শুনানির কথাও উল্লেখ করেছেন। চিঠিতে তিনি বলেছেন, ৫ কংগ্রেস এবং ২ নির্দল কাউন্সিলরের ভোটে অপসারিত হয়েছিলেন সেখানকার চেয়ারম্যান। তারপরেও সেখানে রীতিনীতি ভেঙs নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বদলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বসানোর উল্লেখ করেছেন অধীর চৌধুরী। চিঠিতে ঝালদা নিয়ে নোংরা রাজনীতির অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
শুভেন্দু ছাড়াই নন্দীগ্রামে চলার ক্ষমতা রয়েছে তৃণমূলের, ৮ বছর আগে প্রস্তাব পান অভিষেক