অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল দেশের স্বার্থ! অধীর স্মরণ করলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। প্রথম প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, প্রণববাবুকে আমাদের হারাতে
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। প্রথম প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, প্রণববাবুকে আমাদের হারাতে হল। প্রণববাবু আজ আর মাদের মধ্যে নেই। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর সঙ্গলাভের কথা স্মরণ করেছেন অধীর চৌধুরী।
সাহায্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধে, এমন কী ভারতে নির্বাসনে থাকার সময়েও! প্রণব স্মরণে শেখ হাসিনা
একটা যুগের অবসান
অধীর চৌধুরী একদিকে যেমন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সঙ্গলাভের কথা জানিয়েছেন, অন্যদিকে, তাঁকে সম্মান ও শ্রদ্ধার কথাও জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর মতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু একটা যুগের অবসান। অধীর বলেন, প্রণব মুখোপাধ্যায়কে বলা হত এনসাইক্লোপিডিয়া। যা জিজ্ঞাসা করা যেত, উত্তর পাওয়া যেত। জ্ঞানী ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
দেশের স্বার্থ ছিল অগ্রাধিকার
অধীর চৌধুরী বলেন, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে দেশের স্বার্থ ছিল অগ্রাধিকার। অভিভাবকের মতো তাঁর কাছে আশ্রয় পাওয়া যেত। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই।
অধীরের চেষ্টাতেই জঙ্গিপুর থেকে পরপর দুবার জয় প্রণবের
বারবার লোকসভায় যাওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে বাধা পড়েছে বারবার। ফলে কখনও গুজরাত, আবার কখনও অন্য রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় যেতে হয়েছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু ২০০৪-এ চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে জঙ্গিপুরে লড়াইতে রাজি করান অধীর। এবং জিতে যান। ফলে বলা যেতেই পারে অধীরের চেষ্টাতেই লোকসভায় গিয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে অধীর চৌধুরীর উদ্দেশ্য ছিল জেলার উন্নয়ন। যা মন্ত্রী হিসেবে করেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনেই রাজ্য সভাপতি অধীর
রাজ্য কংগ্রেসে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ভাল সম্পর্ক থাকলেও সোমেন মিত্রের সঙ্গে তা ছিল না। অধীর চৌধুরীকে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি করার আগে কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে বারবার প্রণব মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, অধীর চৌধুরী তো জেলার শক্তিশালী নেতা, তাঁকে রাজ্য সভাপতি করা কি উচিত হবে। জানা যায় প্রণব মুখোপাধ্যায় তাতে সায় দিয়েছিলেন। ফলে অনেক মত অগ্রাহ্য করেই অধীর চৌধুরীকে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি করেছিল কংগ্রেস হাইকমান্ড।