রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার! নারদ মামলায় সিবিআই-এর গ্রেফতার নিয়ে একাধিক প্রশ্ন অধীরের
নারদ মামলায় সিবিআই-এর গ্রেফতারের সময় নিয়ে প্রশ্ন অধীরের
নারদ কাণ্ড (narad sting operation) বাংলায় খুবই পরিচিত দুর্নীতির ঘটনা। তা নিয়ে আইন-বিচার সবই হবে। কিন্তু সিবিআই (cbi)-এর গ্রেফতারের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (adhir chowdhury)।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার যেন কেউ না হয়
এদিন নারদ কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে চারজনের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার যেন কেউ না হয়। তিনি বলেন, কাউকে ধরব আর কাউকে ছাড়ব সিবিআই এই নীতি গ্রহণ করতে পারে না।
তিনি বলেছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি তৃণমূলও করে চলেছে, তাঁর থেকে কংগ্রেসের মালদা মুর্শিদাবাদের কর্মীদের থেকে আর ভালো কে জানে, বলেছেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু এর বিরুদ্ধেও তারা যেন লড়াই করছেন, প্রতিবাদ আন্দোলন করছেন, ঠিক তেমনই এদিনের ঘটনা যদি প্রতিহিংসামূলক হয় তার প্রতিবাদও কংগ্রেস করবে বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
সবাইকেই চেনেন
অধীর চৌধুরী বলেছেন, যাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা সবাই বাংলার রাজনীতিবিদ এবং সিনিয়র পলিটিশিয়ান। তাঁদের প্রায় সবাইকে তিনি চেনেন, জানেন। তিনি বলেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদনদা, ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সবাই বাংলার রাজনীতিবিদ। তাঁদের সুস্বাস্থ, সেফটি-সিকিউরিটি কে দেখবে, তার ব্যবস্থা কে করবে, তা জানার দরকার বলে মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী।
করোনা আবহে গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন
করোনা আবহে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা কীভাবে দেওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এই সময় বড়ই জটিল সময়। কেননা সারা বাংলায় করোনায় ত্রাহি-ত্রাহি রব। ওষুধ নেই, ভ্যাকসিন নেই, মানুষের সেবার দরকার, সেই অবস্থায় গ্রেফতার করা কি সমীচিন হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অধীর। সেই প্রশ্ন তিনি সিবিআই-এর সামনে রাখছেন বলেও জানিয়েছেন।
আমাকেও গ্রেফতার করুন! ফিরহাদ, সুব্রতরা গ্রেফতার হতেই নিজাম প্যালেসে কার্যত ধর্ণায় মমতা
সিবিআই অফিসে মুখ্যমন্ত্রী
এদিন সকালে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে। তারপর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখানে গিয়ে তাঁকেও গ্রেফতারের দাবি তোলেন। এদিকে এই গ্রেফতারি নিয়ে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেছে। যার জেরে জমায়েতের ওপরে যে বিধিনিষেধ ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।