এবার দাউদের সঙ্গেও আন্ডারস্ট্যান্ডিং! মমতার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিশানা অধীরের
শিলিগুড়ির গান্ধী ময়দানে বিমল গুরুং (bimal gurung) -এর সভা। সেই সভায় গুরুংকে পৌঁছে দিতে এসকর্টের ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকার। বিষয়টিকে ভয়ানক বলে বর্ণনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir chowdhury)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) নীতি আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।


রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ অধীরের
এদিন বিমল গুরুংকে এসকর্ট করে নিয়ে গিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিশ। যে ঘটনার সমালোচনা করেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র ভোটের স্বার্থে আমরা আমাদের রাজ্যের স্বার্থ, দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেব? তাঁর আরও প্রশ্ন, আমাদের কি নীতি, আদর্শ কোনও কিছুরই বালায় থাকবে না জীবনে? তিনি বলেন, এই গুরুং, সশস্ত্র বাহিনীর অমিতাভ মালিককে মারল। তিনি বলেন, তাঁরা যেমন অমিতাভ মালিকের বাড়িতে গিয়েছিলেন, ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন শাস্তি পাবে গুরুং। দেশ বিরোধী আইনে গুরুংকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ
অধীর চৌধুরী রাজ্য সরকারের অবস্থানকে কটাক্ষ করে বলেন, যে রাজ্য সরকারের পুলিশ গুরুংকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে পাহাড় ছাড়া করিয়ে ছিল, সেই গুরুংকে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ, পাহাড়া দিয়ে পাহাড়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তিনি (অধীর) আগেই বলেছেন, দিদিভাই আত্মঘাতী রাজনীতি করবেন না। তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে তিনটি ও ডুয়ার্সে পনেরোটি আসন জেতাবেন বলেছেন গুরুং। সেই কারণে তার সঙ্গে রফা। পিকের পরামর্শেই এই রফা। তিনি আরও বলেন, যারা বোমা বানায়, তাদের মৃত্যু হয় বিস্ফোরণে, যারা সাপ খেলা দেখায়, তাদের মৃত্যু হয় সাপের ছোবলে। অধীর চৌধুরী বলেছেন, দিদিভাই আজ যেটা করছেন, তাতে নিজের সর্বনাশ তো করছেনই, সঙ্গে বাংলার সর্বনাশ করছেন।

বাংলার রাজনীতিতে নীতি, আদর্শের কোনও দাম থাকবে না?
অধীর চৌধুরী প্রশ্ন করেছেন, তাহলে কি এই বাংলার রাজনীতিতে নীতি, আদর্শের কোনও দাম থাকবে না। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মনে করে থাকেন, বিমল গুরুং ভাল মানুষ, তাহলে কেস পুরো মেটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতেন। তিনি বলেন, গুরুং একদিন আপনাকে মা বলেছিল, আপনি তাঁকে ছেলের মতো ভাল বেসেছিলেন। সেই গুরুংকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে মেরে দিতে বলেছিলেন। অধীর চৌধুরীর প্রশ্ন, তাহলে কি অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর কোনও বিচার হবে না।

এবার কি দাউদের সঙ্গেও আন্ডারস্ট্যান্ডিং, প্রশ্ন অধীরের
অধীর চৌধুরী বলেন, যেমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, নির্বাচনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গেও আন্ডারস্ট্যান্ডিং করবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে জিততে তো আল কায়েদা, জৈশের মতো সংগঠনের সঙ্গেও আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে কাকে বিশ্বাস করবেন সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর কথার কি কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে না। এটাই কি বাংলার উন্নয়ন প্রশ্ন করেছেন তিনি। অধীর চৌধুরী বলেন, তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, আবার পাহাড় রক্তাক্ত হবে।
রাজ্যপালের মানসিক সমস্যা রয়েছে! নাম না করে আর যা বললেন ফিরহাদ হাকিম