দিদির দলের চালাকি শেখেননি তৃণমূলের সাংসদ দেব-শত্রুঘ্নরা, খোঁচা অধীরের
দিদির দলের চালাকি শেখেননি তৃণমূলের সাংসদ দেব-শত্রুঘ্নরা, কেন একথা বললেন অধীর
তৃণমূল সাংসদদের মুখ থেকে এখন সত্য কথা বেরিয়ে আসছে। তাঁদের শিল্পী সত্ত্বার বহিঃপ্রকাশেই তাঁরা তৃণমূলের খারাপগুলিকে মেনে নিতে পারছেন না বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলির ভালোগুলিকেও তাঁরা খারাপ বলতে পারছেন না অন্যদের মতো। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ দেব ও শত্রুঘ্ন সিনহার মন্তব্যকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন অধীর চৌধুরী।
শিল্পী সত্ত্বাই দেবকে সত্যি কথা বলাচ্ছে
অধীর চৌধুরী বলেন, দেব তৃণমূলের সাংসদ, পাশাপাশি তিনি একজন বড় অভিনেতাও। তিনি সবসময় স্পষ্ট কথা বলেছেন, এটা আমরা দেখতে পেয়েছি। কারণ এখনও পর্যন্ত দিদির দলের সাংসদ হলেও দিদির দলের চালাকিগুলো তিনি শিখে উঠতে পারেননি বা শেখেননি কিংবা শিখতে চাননি। এক্ষেত্রে তাঁর শিল্পী সত্ত্বাই বাধা দিয়েছে তা শিখতে।
শত্রুঘ্ন সিনহাও সত্যি কথাটাই ব্যক্ত করেছেন
অধীর চৌধুরী বলেন, দেব তো সত্যি কথাই বলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মুখ থেকে সত্য কথা বেরিয়ে এসেছে। যেভাবে শত্রুঘ্ন সিনহাও সত্যি কথাটাই ব্যক্ত করেছেন। দেশের মানুষ আজ যা চাইছেন, সেটাই তো ব্যাখ্যা করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।
আবাস যোজনায় দুর্নীতি প্রসঙ্গে
শত্রুঘ্ন সিনহা সম্প্রতি রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করেছেন। বর্তমানে দেবও সমর্থন করছেন। দেব বলেছেন, আবাস যোজনায় দুর্নীতিতে যে দলের হোক না কেন শাস্তি হওয়া উচিত। আবাস যোজনায় দুর্নীতি তো হচ্ছে। বঙ্গে আরও দুর্নীতি হচ্ছে। আর দুর্নীতি হচ্ছে বলেই তো আজকে ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ লোকের নাম বাদ গিয়েছে।
রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে
মুর্শিদাবাদে ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরী দেব ও শত্রুঘ্ন সিনহার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তারপর নবান্নর কাছেই শিবপুর থেকে জঙ্গি গ্রেফতারে অধীর চৌধুরী রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছে। বলেছেন, যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা থাকে না, সেই রাজ্যে অপরাধ বৃদ্ধি তো হবেই।
অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ
অধীরের কথায়, আইনশৃঙ্খলায় ঘাটতি হলেই অপরাধ বাড়বে, জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাবে। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নেই, ফলে উগ্রবাদীদের দৌরাত্ম বেড়েছে। অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। সুযোগকে সদ্ব্যবহার করে এই রাজ্যের মাধ্যমে নাশকতামূলক কাজ করছে উগ্রবাদীরা। তার শাখা-প্রশাখা বিস্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পদযাত্রা যত এগোচ্ছে, ততই মানুষ জাগছে
অধীর চৌধুরী বলেন, মানুষের তরফ থেকে আমরা সাড়া পাচ্ছি। তাতে দেখা গেছে সর্বস্তরের মানুষ বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মা-বোনেরা যেভাবে আমাদেরকে সমর্থন জানিয়ে আমাদের ভারত যাত্রাকে আশীর্বাদ ও দোয়া দিচ্ছেন, তা আমাদের আগামী দিনে চলার পথে শক্তি জোগাবে। সাগর থেকে পাহাড় পর্যন্ত এই পদযাত্রা যত এগোচ্ছে, ততই মানুষ জাগছে। কৌতুহল বাড়ছে, আমাদের পদযাত্রাতে শামিল হওয়ার মানসিকতা তৈরি হচ্ছে।
হাইকোর্টের অচলাবস্থা নিয়ে কড়া প্রধান বিচারপতি, আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থা'র