সোমেন পদত্যাগ করেছিলেন বিরোধী তকমা খুইয়ে, বিধায়ক শূন্য হয়ে কেন নন অধীর
সোমেন পদত্যাগ করেছিলেন বিরোধী তকমা খুইয়ে, বিধায়ক শূন্য হয়ে কেন নন অধীর
স্বাধীনতার পর কোনওদিন কংগ্রেস শূন্য বিধানসভা তৈরি হয়নি বাংলায়। একুশে মমতা-ঝড়ে কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় সেটাই হতে চলেছে। বাংলার মসনদে যে দল দীর্ঘদিন ছিল, সেই দলই বিধায়ক শূন্য। তাই প্রশ্ন উঠে গেল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে নিয়ে। দাবি উঠল, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে পদত্যাগের।
মমতাকে এখনকার 'ঝাঁসির রানি’ তকমা কংগ্রেস নেতার, ২০২৪-এর আগে বাড়ছে জল্পনা
অধীর চৌধুরীর জেলায় কংগ্রেসের ব্যর্থতা
একুশের ভোটে ভরাডুবিতে এবার অতিমাত্রায় প্রকট হয়েছে অধীর চৌধুরীর জেলায় কংগ্রেসের ব্যর্থতা। অধীর চৌধুরীর মিথ ভেঙে খান খান হয়ে গিয়েছে। এই জেলায় কংগ্রেস দাপট মুছে তৃণমূল ২২টির মধ্যে দখল করেছে ১৮টি। আর বিজেপি পেয়েছে ২টি আসনে জয়। বাকি দুটি আসনে ভোটদান স্থগিত রাখা হয়েছে।
নিজেদের গড়ে ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস
শুধু অধীরের জেলাই নয়, নিজেদের গড় বলে পরিচিত সমস্ত জেলা ও কেন্দ্রতেই এবার ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদের মতো মালদহ, উত্তর দিনাজপুরেও কংগ্রেস সাফ। এই তিন জেলার সংখ্যালঘু ভোট এতদিন পেয়ে এসেছে কংগ্রেস। এবার তা তৃণমূলের বাক্সে গিয়েছে। আইএসএফেও গেছে কিছু ভোট। ফলে কংগ্রেস ধরাশায়ী হয়েছে
সোমেন পদত্যাগ করেছিলেন, অধীর কেন নন
কিন্তু তা সত্ত্বেও অধীর চৌধুরী দায় এড়াতে পারেন না। দাবি উঠেছে, ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস বিরোধী তকমা খোয়াতেই পদত্যাগ করেছিলেন সোমেন মিত্র। এবার বিধানসভায় শূন্য হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। তাহলে কেন অদীর চৌধুরী পদত্যাগ করবেন না। প্রদেশ কংগ্রসের অন্দরেই এই দাবিব উঠেছে।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী
অধীর চৌধুরী বলেন, আমি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হইনি। আমাকে সোনিয়াজি এই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি তাঁকে না বলতে পারিনি। তিনি যদি মনে করেন, এআইসিসি যদি মনে করে, তবে আমাকে সরিয়ে দিতে পারে। কংগ্রেসের এই সম্পূর্ণ ধরাশায়ী অবস্থায় অন্দরের কোন্দল ফের উঠতে শুরু করেছে।