সিপিএমকে ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তীতে আমন্ত্রণ করলেও তৃণমূলকে নয়, ব্যাখ্যা অধীরের
সিপিএমকে ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তীতে আমন্ত্রণ করলেও তৃণমূলকে নয়, ব্যাখ্যা অধীরের
ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে বাংলায় অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে সাগর থেকে পাহাড় যাত্রা চলছে। তা শেষ হবে আগামী ২৩ জানুয়ারি। পাহাড়ে এই মহতী যাত্রার সমাপ্তী অনুষ্ঠানে সিপিএম তথা বামেদের আমন্ত্রণ করা হলেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তৃণমূলকে। কেন তৃণমূল ব্রাত্য, তার ব্যাখ্যা দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
অধীরের কাছে ব্রাত্য তৃণমূল
অধীর চৌধুরী ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিতে চিঠি লিখে আমন্ত্রণ জানান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে। এছাড়াও বিমান বসু, নরেন চট্টোপাধ্যায়দেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। শুধু ব্রাত্য রয়ে যায় তৃণমূল। বিজেপি বিরোধী সকল দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেই তালিকায় রয়েছে তৃণমূলও। কিন্তু অধীরের কাছে ব্রাত্য তৃণমূল।
অধীর তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানালেন না
কেন তিনি সিপিএমকে ডাকলেন, অথচ তৃণমূলকে ডাকলেন না। সংহতি, সম্প্রীতি ও মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় করতে যে যাত্রা, সেখানে কেন এই বৈপরীত্য। রাহুল গান্ধী তো বিজেপিরও যাঁরা সৌভ্রাতৃত্ব চান, তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাহলে অধীর কেন পারলেন না তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানাতে?
সাগর থেকে পাহাড় যাত্রায় ব্রাত্য তৃণমূল
সাগর থেকে পাহাড় যাত্রা শুরু করেছেন অধীর। কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে যে পরিক্রমা শুরু করেছিলেন তিনি, তা কার্শিয়াংয়ে শেষ হওয়ার কথা আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে। সেই সমাপ্তী অনুষ্ঠানে বামেদের ডাক দিলেও তৃণমূলকে কেন ডাকেননি অধীর, তাঁর ব্যাখ্যা দিলেন এদিন।
কেন তৃণমূল ব্রাত্য, ব্যাখ্যা অধীরের
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, রাহুল গান্ধী নিজে তৃণমূলকে ভারত জোড়ো যাত্রায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছিল, রাহুল গান্ধী একজন সাংসদ। তাঁর ডাকে কেন যাবো আমরা? তারপর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে চিঠি লিখেছেন, তারপরও সাড়া মেলেনি। যাঁরা রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গের আমন্ত্রণে সাড়া দেন না, আমি চিঠি লিখলে যে তাঁরা যোগ দেবেন, সেই প্রত্যাশা করা আমরা বাতুলতা ভিন্ন কিছু নয়।
কেন সিপিএমকে এবং বামেদের আমন্ত্রণ
এই মর্মে অধীর জানান, কেন সিপিএমকে এবং বামেদের আমন্ত্রণ জানান তিনি। তাঁর কথায়, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় ইতিমধ্যে সীতারাম ইয়েচুরি-সহ অনেক নেতাই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রায় পা মিলিয়েছেন। সেই কারণেই সিপিএমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে সমমনোভাবাপন্ন অন্য দলগুলিকেও।
আমন্ত্রণী বিতর্ক নিয়ে তৃণমূলের পাল্টা অধীরকে
এই আমন্ত্রণী বিতর্ক নিয়ে তৃণমূল পাল্টা দিয়েছেন অধীর চৌধুরীকে। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, কংগ্রেস বহু বছর ধরেই সিপিএমের হাতের তামাক খেয়ে আসছে। বাম আমলে অগণিত কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন সিপিএমের হাতে। সেই কারণেই কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল তৈরি করেছিলেন। তৃণমূল সেই কংগ্রেসের আমন্ত্রণের অপেক্ষায় থাকে না।
মহম্মদ সেলিমকে আমন্ত্রণ অধীরের, মধুরেণ সমাপয়েৎ চাইছেন ভারত জোড়ো যাত্রায়