অধীরের কণ্ঠে মমতাকে নিয়ে অভিমান! কংগ্রেস সাংসদের ‘পরিবর্তন’-এ নয়া জল্পনা
অধীরবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় টুইট করেন। ফেসবুক পোস্ট করে বার্তা দেন। কই এদিন তো তিনি একটাও টুইট করলেন না তাঁর দুর্ঘটনায় খবরে।
এখন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনলে রে-রে করে ওঠেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বরং মমতার নামে অভিমান ধরে পড়ে তাঁর গলায়। অধীরবাবুর এই পরিবর্তনেই রাজনৈতিক মহলে নয়া জল্পনার সূত্রপাত হয়েছে। কেন অধীরবাবুর এই পরিবর্তন? তবে কি হাইকম্যান্ডের মনোভাব পড়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিজেকে তৈরি করছেন মমতার সঙ্গে এক সাথে পথ চলার জন্য?
রবিবার মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার পর থেকেই যেন অনেকটাই বদলে গিয়েছে রাজ্যের চালচিত্রটা! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে দুর্ঘটনার খবর নেন। অধীরবাবুর কেমন আছে তাও জানতে চান। তবে অধীরবাবু এদিন জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করেননি। এক আধিকারিককে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সম্বন্ধে খোঁজ খবর নিয়েছেন।
তবে অধীরবাবুর যে এ ব্যাপারে অভিমান হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়েছে তাঁর কথাতেই। অধীরবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় টুইট করেন। ফেসবুক পোস্ট করে বার্তা দেন। কই এদিন তো তিনি একটাও টুইট করলেন না তাঁর দুর্ঘটনায় খবরে। একজন আধিকারিক তাঁকে ফোন করে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যের কথা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি তাঁকে ফোন করুন বা কারও মাধ্যমে খোঁজ খবর নেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে অধীরবাবু যে আগের অবস্থান বদল করেছেন, তা স্পষ্ট। তিনি এখন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উঠলে আক্রমণাত্মক হন না। বরং তাঁর কথায় অভিমানই ঝরে পড়ে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, আসলে এসবই হচ্ছে ২০১৯-র লক্ষ্যে।