দল চালাতে কেন গান্ধী-নেহরু পরিবারের বাইরের কেউ নয়, জানালেন অধীর! কবে কংগ্রেস ক্ষমতায়, দিলেন ইঙ্গিত
নেহরু গান্ধী পরিবারের বাইরের কারও কংগ্রেস চালানো শক্ত। এমনটাই মন্তব্য করলেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
নেহরু গান্ধী পরিবারের বাইরের কারও কংগ্রেস চালানো শক্ত। এমনটাই মন্তব্য করলেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কারণ হিসেবে নি বলেছেন এই পরিবারের ব্র্যান্ড ইকুইটি রয়েছে। তিনি বলেন, কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন নির্ভর করছে আঞ্চলিক দলগুলির দুর্বল হওয়ার ওপর। তিনি আরও বলেন, দেশ এখন দ্বিমেরু রাজনীতির দিকে যাচ্ছে।
অধীর চৌধুরী দাবি করেন, একমাত্র কংগ্রেসের মতো দলই দেশে বিজেপির মতো দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। পাশাপাশি তিনি বলেন, নেহরু গান্ধী পরিবারের বাইরের কারও কংগ্রেস চালানো শক্ত। তিনি বলেন, রাজনীতিতেও ব্র্যান্ড ইকুইটি রয়েছে। এপ্রসঙ্গে তিনি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই দুই ব্যক্তি ছাড়া কি বিজেপি চলতে পারবে? উত্তর হল না। কংগ্রেসেও গান্ধী পরিবারের ব্র্যান্ড ইকুইটি রয়েছে।
দেশ এগোচ্ছে দ্বিমেরু রাজনীতির দিকে
অধীর বলেন, যেভাবে আঞ্চলিক দলগুলি কাজ করছে, তাতে সামনে দিনে তারা গুরুত্ব হারাবে। কেননা দেশ এখন দ্বিমেরু রাজনীতির দিকে এগিয়ে চলেছে। এই দ্বিমেরু রাজনীতি শুরু হলেই কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। তিনি বলেন, আঞ্চলিক দলগুলির কংগ্রেসের মতো আদর্শ কিংবা জনসমর্থন কোনওটাই নেই।
সনিয়া গান্ধীর প্রশংসা
সনিয়া গান্ধীর প্রশংসা করতে গিয়ে অধীর বলেন, যখনই কংগ্রেস সংকটে পড়েছে, দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সনিয়া গান্ধী। তাঁর জন্যই কংগ্রেস ২০০৪ এবং ২০০৯-এ সরকার গঠন করেছিল বলে মনে করেন তিনি।
সম্প্রতি ৭২ বছর বয়সী সনিয়া গান্ধীকে কংগ্রেসের অন্তবর্তী সভাপতি পদে বসানো হয়েছে। প্রায় মাস কুড়ি আগে সনিয়া গান্ধী দায়িত্ব ছাড়ার পর রাহুল গান্ধীকে সভাপতির আসনে বসানো হয়েছিল। অধীর চৌধুরী বলেন, রাহুল গান্ধীকে যদি বিরোধীদের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হত, তাহলে হয়ত ফল অন্যরকম হত। সংবিধানের ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি প্রসঙ্গে অধীর বলেন, খুব তাড়াতাড়ি সরকার বিল এনেছে। কংগ্রেসও নিজেদের দলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সুযোগ পায়নি।