হতাশ হয়ে মইনুলদাও দল ছাড়লেন, বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত রয়েছে অধীর চৌধুরীর! বিস্ফোরক অভিষেক
জঙ্গিপুর-সামসেরগঞ্জে ভোটের আগে বড় ধাক্কা প্রদেশ কংগ্রেসে। তৃণমূলে যোগ দিলেন পাঁচবারের কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হোক। আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে নাম লেখালেন মইনুল।
জঙ্গিপুর-সামসেরগঞ্জে ভোটের আগে বড় ধাক্কা প্রদেশ কংগ্রেসে। তৃণমূলে যোগ দিলেন পাঁচবারের কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হোক। আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে নাম লেখালেন মইনুল।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট রয়েছে জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জে। আর তাঁর আগেই মইনুলকে ঘরে তুলে নিল অভিষেক। এর আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রবণ-পুত্র অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার আরও এক অধীর ঘনিষ্ঠ নেতার তৃণমূল যোগ মাস্টারস্ট্রোক বলছেন রাজনৈতিকমহলের একাংশ।
অভিষেকের হাত ধরে কংগ্রেসে মইনুল
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচনী যুদ্ধে রয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেসের কফিনে আরও পেরেক পুঁততে চান একসময়ে অধীর চৌধুরীর অনুগত বলে পরিচিত একাধিক নেতা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেনের বাড়ি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন সাংসদ আবু তাহের খান, তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান-সহ অন্যরা। সেখানেই মইনুল হককে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেই মতো আজ অভিষেকের হাত ধরে দলবদল মইনুলের। এদিন দলবদলের পরেই অভিষেক তাঁকে পাশে নিয়ে কংগ্রেসকে তিব্রব আক্রমণ করলেন। বললেন, ''কংগ্রেস কাজ করছে ঠিকই, কিন্তু পারছে না। হতাশ হয়ে মইনুলদাও দল ছাড়লেন''।
বিজেপিকে সুযোগ করে দিচ্ছে
ভোট প্রচারে আজ সামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে উড়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত এই দুই জায়গা একটা সময়ে কংগ্রেসের শক্ত গড় হিসাবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু আজ সেই সংগঠন তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তাও বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করতে ছাড়লেণ না অভিষেক।
তাঁর দাবি, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে বাম-কংগ্রেস জোট করে। তবে এবার জটের জবাব দিয়েছে বাংলার মানুষ। শুধু তাই নয়, অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাত রয়েছে বলেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অভিষেক। আর সেই কারনে উন্নয়নের স্বার্থে মানুষকে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার কথা বলেন তৃণমূলের এই সেকেন্ড ইন কম্যান্ড।।
পাশাপাশি বিজেপিকেও তীব্র আক্রমণ। তাঁর দাবি, আমরা দরজা বন্ধ করে রেখেছি। দরজা খুললে বিজেপি দলটাই নাকি উঠে যাবে। লাইনে বহু বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন বলেও দাবি অভিষেকের।
একলা হচ্ছেন অধীর!
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পর থেকে মুর্শিদাবাদের অনেক কংগ্রেস নেতাই অধীর চৌধুরীর সঙ্গ ছেড়েছেন। এর মধ্যে যেমন ছিলেন জঙ্গিপুরের প্রাক্তন সাংসদ অভিজিত মুখোপাধ্যায়, তেমনই দেখা গিয়েছিল হরিহরপাড়ার কংগ্রেস প্রার্থী মীর আলমগির পলাশকেও।যাঁদের সাহায্য নিয়ে জয়, তাঁদেরকেই অধীর চৌধুরী মর্যাদা দেননি বলে অভিযোগ করেছিলেন দলত্যাগীরা।
অন্যদিকে কলকাতাতেও বড় ধাক্কা কংগ্রেসের। তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন শিখা মিত্র। তৃণমূলের দাবি, লাইনে আরও রয়েছেন।