মমতার পরিকল্পনার গলদেই অমিতাভের মৃত্যু! জঙ্গি-যোগ তত্ত্বে তোপ অধীরের
খোদ মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, উত্তর-পূর্বের সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে বিমল গুরুংয়ের। সেখানে কেন বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছাড়া পুলিশ বাহিনী অভিযান চালাল।
পরিকল্পনার গাফিলতিতেই পাহাড়ে অভিযান চালাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের। সঠিক পরিকল্পনা না করে অভিযানে নামার জন্যই অমিতাভ-সহ পুলিশবাহিনী বিমল গুরুংদের নিশানায় চলে আসে। যার ফল ভোগ করতে হয় অমিতাভ মালিক-সহ পাঁচ পুলিশ অফিসারকে।
[আরও পড়ুন:'রাষ্ট্রদ্রোহী' দিলীপ ঘোষ! তকমা পাওয়ার পরও অমিতাভ-খুনে সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী]
তিনি পাহাড়ে পুলিশি অভিযান নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি বিমল গুরুংয়ের শাস্তির দাবি করেছেন। রবিবার মধ্যমগ্রামে নিহত পুলিশ অফিসার অমিতাভের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে ফিরে আসতে হয় অমিতাভের বাড়ির দরজা থেকে। অমিতাভের ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েই তিনি ফিরতে বাধ্য হন।
এদিন তিনি বলেন, খোদ মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, উত্তর-পূর্বের সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে বিমল গুরুংয়ের। সেখানে কেন বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছাড়া পুলিশ বাহিনীকে অভিযান চালাতে দেওয়া হল? প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, একটু সুষ্ঠুভাবে পরিকল্পনা করে এগোলে এই মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যেত। তাহলে অমিতাভকেও মরতে হত না, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে হত না বাকি চারজনকেও।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এদিন অমিতাভের বাড়িতে যান। কিন্তু এই ঘটনায় কোনও রাজনীতি হোক চান না অমিতাভের পরিবার। তাই অধীর চৌধুরীকে সমবেদনা না জানিয়েই ফিরে আসতে হয়। তিনি জানান, রাজনীতি করতে নয়, পরিবারের পাশে থাকার আবেদন নিয়ে সমবেদনা জানাতেই তিনি এসেছেন। তবু এককাট্টা অমিতাভের পরিবার। এরপর অমিতাভের ছবিতে মালা আর ধূপ দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েই তিনি ফিরে আসেন।
এ প্রসঙ্গে অধীরবাবুব সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রীরও। তিনি বলেন, পাহাড়ে পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে জিএলপি। বিনয় তামাং এই জিএলপি-র প্রতিষ্ঠাতা। তাঁকেই এখন জিটিএ-র সর্বেসর্বা করা হয়েছে। এই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না বিনয় তামাংও। অমিতাভের মৃত্যুর দায় তাঁকেও নিতে হবে।