মমতার ‘পরামর্শদাতা’ অধীর চৌধুরী! রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে কী পরামর্শ দিলেন কংগ্রেস সাংসদ
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দিলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর রাজনৈতিক বৈরিতা সর্বজনবিদিত।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দিলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোর রাজনৈতিক বৈরিতা সর্বজনবিদিত। তারপরও মমতাকে পরামর্শ দিতে কেন এগিয়ে এলেন তিনি! আসলে একটি বিষয়ে মমতার মতো তিনিও তিতিবিরক্ত। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে অধীর তাই পরামর্শ দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।
মমতার সঙ্গে সহমত অধীর!
রাজ্যপালের অবস্থান নিয়ে দুই নেতা-নেত্রী সহমত। অধীর তৃণমূল সুপ্রিমোর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, রাজ্যপালকে সরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়া। তিনি বলেন, বাংলার দুর্ভাগ্য যে এমন একজন রাজ্যপাল এসেছেন। এর আগে বাংলায় দিকপাল মানুষেরা রাজ্যপাল হয়ে এসেছেন। কিন্তু এমন রাজ্যপাল দেখিনি।
রাজ্যপাল বিশেষ দলের প্রতিনিধি
অধীরের কথায়, আমরা বাংলায় রাজ্যপাল হয়ে আসতে দেখেছি নুরুল হাসান, গোপালকৃষ্ণ গান্ধীদের মতো ব্যক্তিত্বকে। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল যা পরিচয় দিচ্ছেন তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে তিনি কোনও বিশেষ দলের প্রতিনিধি। এর আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে বিজেপির মুখপত্র বলে তোপ দেগেছিলেন। এবার অধীরও একই কথাই বললেন।
বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি করতেই
অধীর বলেন, রাজ্যপালের ভূমিকাতে মনে হচ্ছে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি করতেই তাঁকে পাঠানো হয়েছে বাংলায়। এর আগে মমতার সঙ্গে রাজ্যপালে বিরোধে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বে রাজ্যপালের পাশেই দাঁড়়িয়েছিলেন। এবার ভিন্নসুর অধীরের মুখে্। অধীর সরাসরি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতাকে পরামর্শ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর উচিত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করা
অধীর বলেছেন, কোনওরকম কাউন্টারে না গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে রাজ্যপালকে নিয়ে অভিযোগ জানানো। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারছি না কেন তিনি বিধায়কদের নিয়ে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ জানাচ্ছেন না। কোনও রাজ্যের পক্ষেই রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত চালিয়ে যাওয়া কাম্য নয়। যা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে সার্কাস চলছে।