বিজেপির সুরে সুর মেলালেন অধীর! পঞ্চায়েত ভোটে তাঁরও চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে তিনিও জানিয়ে দিলেন পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে।
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে তিনিও জানিয়ে দিলেন পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। তাঁর কথায়, বাংলায় কেন্দ্রীয় আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। তাই রাজ্যের পুলিশকে দিয়ে ভোট করানোর কোনও অর্থ নেই। ভোট করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে।
সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী বলেন, আগামী ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন রক্তাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবারও ভোটে জেতার জন্য হিংসার আশ্রয় নেবে। অন্য কারও ভাগে একটি ভোটও পড়তে দেবে না। তৃণমূল মুখে যতই স্বচ্ছ ভাটের কথা বলুক, তা যে বর্তমানে রাজ্য পুলিশকে দিয়ে সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট করেই উল্লেখ করেন অধীর চৌধুরী।
অধীরের কথায়, ভোট যদি গণতান্ত্রিকভাবে করতে হয়, তবে তা করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়েই ক্ষান্ত হবেন না। নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি তো করবেনই, এমনকী আদালতেও যাবেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করে পঞ্চায়েত ভোটের অনুমতি পেতে তিনি আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বলে জানান।
একুশে নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছিল। সেখানে বিরোধীরা কেউই দাঁত ফোটাতে পারেনি। কংগ্রেস তো ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। একটি আসনও কংগ্রেস দখল করতে পারেনি। তারপর পুরসভা নির্বাচনেও বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করার দাবি তুলেছিল। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করার দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। এবার বিজেপির সঙ্গে একই সুরে দাবি তুলল কংগ্রেসও।
বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস- সবারই দাবি, শাসকদল বিরোধীদের রুখতে ভোটে সন্ত্রাস করবে। তা কোনওভাবেই রাজ্য পুলিশ দিয়ে রোখা সম্ভব নয়। তা রুখতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করতে হবে। কংগ্রেসও এবার সেই দাবিতে সরব হয়েছে। অধীর চৌধুরী বলেন, গত বিধানসভা ভোট ও পুরসভা ভোটের সময়ও আমরা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। আবার পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও একই কথা বলছি।
অধীরের কথায়, রাজ্যে পুলিশ ও মস্তান মিলেমিশে ভোট করে। বাংলাকে দুর্নীতির গর্তে ঠেলে দিয়েছে শাসক দল, তারপর ভোটে সন্ত্রাস করে জিতবে, এ আর নতুন কী! কিন্তু সেই সন্ত্রাস রুখতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার। গণতান্ত্রিক ভোট উৎসবকে রক্তাক্ত করা যাবে না। গতবারও নির্বাচন হয়েছিল রক্তাক্ত। এবার সেই রক্তাক্ত নির্বাচন থেকে মুক্তি দিতে হবে বাংলাকে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে দিয়ে যদি নি্র্বাচন হয় তা প্রহসন হবে।