রাজ্যে ডাকিনি-যোগিনীর সরকার চলছে! মনোনয়ন-সন্ত্রস্ত বাংলায় অধীর-তোপে মমতা
রাজ্যে ডাকিনি-যোগিনীর সরকার চলছে বলে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শনিবার রাজ্য সরকারকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যে ভোট-সন্ত্রাস চলছে।
রাজ্যে ডাকিনি-যোগিনীর সরকার চলছে বলে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শনিবার রাজ্য সরকারকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যে ভোট-সন্ত্রাস চলছে। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের প্রত্যক্ষ মদতে ভয় দেখানো হচ্ছে বিরোধী প্রার্থীদের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এইসব হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।
[আরও পড়ুন: তিন দফার ভোট এক দফায় কেন, ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্দি হচ্ছে মামলার ফাঁসে]
তিনি বলেন, রাজ্যজুড়ে তাঁদের প্রার্থীদের উপর মনোনয়ন তুলতে চাপ দেওয়া হয়েছে। অনেককে অপহরণ করে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আর এসবের পিছনে প্রশাসনেরও প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে। এদিন মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে আক্রান্ত কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে এ কথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর কথায়, আমাদের প্রার্থীর উপর অসম্ভব চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। গুলি পর্যন্ত চালানো হয়। তবু সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি কংগ্রেস প্রার্থী।
দৌলতাবাদের বারবাকপুর গ্রাম সংসদের কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা ঘোষ। তাঁকে বেশ কয়েকজদিন ধরে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। এমনকী শুক্রবার রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বোমা ছোঁড়া হয় বাড়িতে। প্রিয়াঙ্কাদেবীর স্বামী সঞ্জীব ঘোষ ও তাঁর ছেলে চিরঞ্জিৎ ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এই হামলার ঘটনায় গুরুতর জখম হন বাবা ও ছেলে।
তা সত্ত্বেও প্রিয়াঙ্কাদেবী সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করেননি। শনিবার এই ঘটনা শুনেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রিয়াঙ্কাদেবীর বাড়িতে যান। তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ান। তিনি জানান, এই অবস্থায় ৩৫৬ ধারা জারির করা দরকার। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই দাবি তুলব। অন্তত ৩৫৫ ধারা জারি করা জরুরি বলে অধীরবাবু মত প্রকাশ করেন। আদালতেও এই সন্ত্রাসের ঘটনা তুলবেন বলে জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: 'আপনারা বলুন, আমি শুনি'! পঞ্চায়েত ভোটের সুরক্ষা-বৈঠকে 'এক বুলি' কমিশনের ]