তৃণমূলের ‘টেন পারসেন্ট মন্ত্রী’কে সতর্ক করলেন অধীর, লকডাউন পরিস্থিতিতে তরজা তুঙ্গে
মমতার সরকারের খাদ্যমন্ত্রীকে দুর্নীতিগ্রস্থ আখ্যা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। করোনা
মমতার সরকারের খাদ্যমন্ত্রীকে দুর্নীতিগ্রস্থ আখ্যা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। করোনা ভাইরাসের লকডাউন পরিস্থিতিতে রাজ্যের গণবণ্টণ ব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়ে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে একহাত নেন কংগ্রেস নেতা। তিনি খাদ্য দফতরের সচিব বদলের প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রীকে নয়া নামেও ভূষিত করেন।
টেন পারসেন্ট মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়
অধীর এদিন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ১০ পারসেন্ট মন্ত্রী বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, খাদ্যমন্ত্রী সবেতেই ১০ শতাংশ কাটমানি খান। তাই ওঁনার নাম টেন পারসেন্ট মন্ত্রী। সবাই জানেন, উনি টেন পারসেন্ট না দিল কিছুই করেন না। তাই আমাদের রেশনমন্ত্রী এই নামেও বেশ প্রসিদ্ধ।
খাদ্যমন্ত্রীর দফতর দুর্নীতিপরায়ণ
অধীরের অভিযোগ, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর দফতরের দুর্নীতি সবাই জানেন। পশ্চিমবঙ্গে যদি কোনও দফতর দুর্নীতিপরায়ণ হয়, তবে সবার আগে নাম আসবে রেশনমন্ত্রীর এই দফতরের। সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রী এই দফতরের সচিবকে বদল করে দিয়েছেন। নতুন সচিবকে এনেছেন। তারপরও মন্ত্রীর এতটুকু চেতন হয়নি।
দুর্নীতিবণ্টন ব্যবস্থাও সুচারু খাদ্য দফতরে
অধীর রেশনমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, আপনার দফতরের দুর্নীতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন। তাই তিনি আপনার দফতরের সচিবকে বদলি করে আপনাকে বার্তা দিয়েছেন। আর আপনি এখন গণবণ্টন ব্যবস্থা সঠিক করে করতে পারছেন না। এই দফতরে গণবণ্টন ব্যবস্থার সঙ্গে দুর্নীতিবণ্টন ব্যবস্থাও সুচারুভাবে চলে।
রেশন বন্ধ করে দেবেন তা বলবেন না, হুঁশিয়ারি
অধীর বলেন, এই দুর্নীতির জবাব তো মানুষ চাইবেনই। তাই প্রতিবাদ হবে। মানুষ প্রতিবাদ করবে। বিরোধী দল প্রতিবাদ করবে। প্রতিবাদের পদ্ধতি নিয়ে যদি কোনও সমস্যা থাকে আইনগত ব্যবস্থা নিন। কিন্তু রেশন বন্ধ করে দেবেন তা বলবেন না। কেননা মানুষের মুখের অন্ন কেড়ে নেওয়ার অধিকার আপনার নেই, রেশনমন্ত্রী।
স্বর্ণ চাল পাল্টি হয়ে যাচ্ছে, অভিযোগ
এদিন চালের পরিমাণের পাশাপাশি চালের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, চাল মাঝ রাস্তায় পাল্টি হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রের সরকার যে চাল দিচ্ছে, তা হল স্বর্ণ চাল। বাংলার মানুষকে বলব, আপনারা স্বর্ণ চাল পাচ্ছেন কি না দেখে নিন। আমাদের কাছে খবর আছে মাঝ রাস্তায় সেই চাল পাল্টি হয়ে যাচ্ছে।
চালের পরিমাণ নিয়েও প্রশ্ন অধীরের
আর চালের পরিমাণ নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে চাল রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার দেবে বলছে, সেই পরিমাণ চাল দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রের সরকার পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা, আর রাজ্য সরকারও ঘোষণা করেছে পাঁচ কেজি করে চাল দেবে। তাহলে সেই পরিমাণ চাল কেন পাচ্ছেন না বাংলার মানুষ।
চাল চুরির অধিকার আছে, প্রতিবাদের অধিকার নেই
অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, সরকারি দলের চাল চুরি করার অধিকার আছে আর বিরোধী দলের কিংবা সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ করার অধিকার নেই? এটা আবার কেমন নীতি। মানুষের প্রাপ্য মানুষ না পেলে প্রতিবাদ হবেই। আমাদের দেশে খা্দ্যের অভাব নেই, দয়া করে রেশনমন্ত্রী আপনি বণ্টনের ব্যবস্থা করুন। না হলে প্রতিবাদ হবেই।