শিল্প নেই, চাকরি নেই, সুরা প্রেমিকদের সুবিধা করছেন দিদি! মমতাকে কড়া নিশানা অধীরের
পাউচপ্যাকে মদ বিক্রি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (adhir chowdhury)। এদিন তিনি কটাক্ষ করে বলেন, বাংলার খবরের কাগজের প্রথম পাতায় দিদি সুবিধা করে দিতে চলেছেন সুরা প্রেমিকদের। তাঁর আরও কটাক্ষ, বাংলা ক্রমশ অথৈ জলে তলিয়ে যাচ্ছে।

পাউচ প্যাকে দেশি মদ সরকারের
রাজ্যের রাজস্বের একটা বড় অংশ আসে মদ বিক্রি থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাউচ প্যাকে দেশি মদ বিক্রি করা হবে। নবান্ন থেকে ইতিমধ্যেই এব্যাপারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। মহুয়ার গন্ধ মেশানো এই দেশি মদ ডিসেম্বর মাসে বাজারে আসার কথা রয়েছে।

মমতাকে কটাক্ষ অধীরের
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, বাংলার খবরের কাগজে প্রথম পাতায় 'দিদি' সুবিধে করে দিতে চলেছেন সুরা প্রেমিক দের। পাউচ ভর্তি মদ পাওয়া যাবে, সস্তা ও পুষ্টিকর মদ, দামে সস্তা, খেতে খাস্তা। চোলাই বিক্রি করে যাদের চলে সেখানেও 'দিদি'র থাবা, সস্তার চোলাই যারা খাবে, সেখানে 'দিদি'র হানা। কারণ 'দিদি'র রোজগার চাই, রাজস্ব চাই, মদ বিক্রির ওপর সরকারের একচেটিয়া অধিকার চাই, কোনো ভাগ কেউ পাবে না, বাংলার যুবকদের জন্য ঢালাও মদ আছে, প্রতিদিন লটারি নামক জুয়া আছে।

অথৈ জলে তলিয়ে যাচ্ছে বাংলা
অধীর চৌধুরী বলেছেন, রাজ্যে শিল্প নেই, কারখানা নেই, চাকরি নেই, স্বাস্থ্য পরিষেবা নেই, শিক্ষার পরিকাঠামো নেই, খুন আছে, ধর্ষণ আছে, কাটমানি খাওয়ার ব্যবস্থা আছে, রাজ্য জুড়ে দুর্নীতি আছে , আর আমাদের বাংলা ক্রমশ অথৈ জলে তলিয়ে যাচ্ছে।

রাজ্যের রাজস্বের বড় অংশ আসে মদ বিক্রি থেকে
রাজ্যের রাজস্বের একটা বড় অংশ আসে মদ বিক্রি থেকে। লকডাউনের আগে মাসে মদ বিক্রি থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হত ৯৫০ কোটি টাকা। লকডাউনের পরপর তা অনেকটাই কমে যায়। ফলে চাপ পড়েছে কোষাগারে। মানুষের রোজগার না থাকা কিংবা কমে যাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে এব্যাপারে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাই কম পয়সায় মহুয়ার গন্ধ যুক্ত মদ বিক্রির সিদ্ধান্ত।