পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ মদতে অশান্ত! শান্তিনিকেতন নিয়ে বিস্ফোরক অধীর
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ মদতে অশান্ত! শান্তিনিকেতন নিয়ে বিস্ফোরক অধীর
শান্তিনিকেতন কাণ্ডের কড়া সমালোচনা করলেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, এর আগে নোবেল চুরির ঘটনায় মানুষ দুঃখ পেয়েছিলেন। এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ মদতে শান্তিনিকেতন অশান্ত হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন অধীর।
সপ্তাহ খানের আগে অগ্নিগর্ভ শান্তিনিকেতন
করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার মাঠ ঘিরে দেওয়া নিয়ে অগ্নিগর্ভ শান্তিনিকেতন। এর আগে পৌষমেলার মাঠ ঘিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত মতো শুরু হয় নির্মাণকাজও। যাকে কেন্দ্র করে মূলত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় শান্তিনিকেতন। দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি লোক নিয়ে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। পে লোডার এনে পাঁচিল ও গেট ভাঙা হয়। উপাচার্যের বিরুদ্ধে আলোচনা না করা অভিযোগ তোলা হয়েছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে।
মুখ্যমন্ত্রীর মদতেই অশান্ত শান্তিনিকেতন
এদিন অধীর চৌধুরী এক ভিডিওবার্তার অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ মদতে অশান্ত হয়ে উঠেছে শান্তিনিকেতন। তিনি অভিযোগ করেন, পাঁচিল ভাঙার আগে পুলিশ উধাও হয়ে যায়। যেখানে সামাজিক দূরত্ব মানার কথা সেখানে হাজার হাজার লোক পাঁচিল ভাঙার জন্য উপস্থিত হয়ে যান। সমস্তটাই মুখ্যমন্ত্রীর জ্ঞাতসারে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
পাঁচিল কেন
অধীর চৌধুরী বলেন, কেন পাঁচিল দিতে গেল বিশ্ব ভারতী, তা ভেবে দেখতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। তাঁর অভিযোগ শান্তিনিকেতন ক্রমশ অপরাধ জগতের যা খুশি তাই করার কেন্দ্রভূমিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। সেখানে প্রমোটর রাজ এবং গুণ্ডারাজেরও অভিযোগ করেছেন অধীর। তিনি বলেন, দিদির দলের লোকেরা শান্তিনিকেতনের পাঁচিল ভেঙে প্রমাণ করে দিল, তৃণমূল মানেই আইন, তৃণমূল মানেই শাসন, তৃণমূল মানেই কানুন।
পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি
শান্তিনিকেতনকে কেন রক্ষা করা যাচ্ছে না, প্রশাসন কেন ব্যর্থ, সেখানকার জমি দখল হচ্ছে কেন, সমস্ত বিষয় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ লতদন্তের দাবি করেছেন অধীর। কেননা শান্তিনিকেতন পশ্চিমবঙ্গের পরিচয়। শান্তিনিকেতনের ঘটনা লজ্জাজনক বলেও মন্তব্য করেছএন তিনি।
বাংলায় করোনায় মৃত্যু কম করে দেখানো হচ্ছে! মমতার সরকারকে চ্যালেঞ্জ অধীরের