নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা, শুভেন্দুকে নিশানায় কেন এ কথা বললেন অধীর
নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা, শুভেন্দুকে নিশানায় কেন এ কথা বললেন অধীর
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে রেকর্ড আসনে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর উপনির্বাচনেও সবুজ সুনামিতে ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বিজেপির আশা-আকাঙ্খা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সামান্য লড়াই দিতেও ব্যর্থ বিজেপি। এই অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ইভিএমে কারচুপি করে জিতেছে তৃণমূল। শুভেন্দুর সেই দাবি শুনে কটাক্ষের সুর অধীর চৌধুরীর গলায়।
মুর্শিদাবাদের রবীনহুড অধীর চৌধুরীই
অধীর চৌধুরীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায় সেই ২০১৬ থেকেই। তৃণমূলে শুভেন্দু অধিকারী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে ছিলেন। তখন অধীর চৌধুরীকে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অধীরকে না হারাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেনও বলেছিলেন। কিন্তু অধীর চৌধুরী একক কৃতিত্বে বহরমপুর থেকে জয়ী হয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনিই মুর্শিদাবাদের রবীনহুড।
উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি
এখন শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে। তিনি আবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তাঁর দল সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে। নিজেদের দখলে থাকা দুটি আসনেও হারতে হয়েছে বিজেপিকে। একটিতে দেড়লক্ষ অন্যটিতে ৬০ হাজারেরও বেশি আসনে জিতে তৃণমূল আধিপত্য বজায় রেখেছে। আর তৃণমূলের জেতা দুটি আসনেও মার্জিন বাড়িয়ে বিজেপিকে লড়াই থেকে ছিটকে দিয়েছে তৃণমূল।
অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারীকে
চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক অভিযোগ করে জানান, উপনির্বাচনে ইভিএম বদল করা হয়েছে। বেহালার ইভিএম গণনা করা হয়েছে গোসাবায়। শাসকদলকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী এই বিবৃতি দেওয়ার পর থেকেই নানা মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্য ভেসে আসছে। এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারীকে।
নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা
অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা তো হেরেছি। সে কথা স্বীকার করতে কোনও দোষ নেই। এখন কেউ কেউ এমনই কথা বলছেন, যাতে সেই প্রবাদবাক্যটা মনে পড়ে যায়। নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। তিনি বলেন, আমি তৃণমূলের পক্ষে বলছি না। তবে এটুকু বলতে পারে বাংলার মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ দলকে নির্বাচন করছেন। তবে সেটা কংগ্রেস নয়, তৃণমূল। আমরা কোনও অজুহাত দিচ্ছি না। আমরা আবার চেষ্টা করব। আমরা আমাদের হারানো জমি উদ্ধারের চেষ্টা করে যাব। কিন্তু যাঁরা অজুহাত দিচ্ছেন, তাঁদের হতে দিল্লি রয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, আরও অনেক কিছু রয়েছে, তবু কেন এই দুরাবস্থা।
সমস্ত ভোটের মেশিন বদলে গিয়েছে!
উপনির্বাচনের ফল প্রকাশরে পর শুভেন্দু বলেছিলেন,, উপনির্বাচনে ইভিএম বদল করা হয়েছে। তৃণমূলের নাম না করেই তিনি বলেন, একটা রাজনৈতিক দল ১০০ শতাংশের মধ্যে ৮৬-৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে গেল, সমস্ত ভোটের মেশিন বদলে গিয়েছে। তাই এমন ফলাফল হয়েছে। উল্লেখ্য, দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ ও গোসাবায় বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল। দিনহাটায় ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়ে রেকর্ড গড় তৃণমূল। খড়দহ, দিনহাটা, গোসাবায় জামানত জব্দ হয়ে যায় বিজেপির।