বিমল গুরুং-এর সঙ্গে কিষেণজির তুলনা! মমতার রাজনীতি নিয়ে সতর্ক করলেন অধীর
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং-এর (bimal gurung) অবস্থা মাওবাদী (maoist) নেতা কিষেণজির মতো। এমনটাই কটাক্ষ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (adhir chowdhury)। প্রসঙ্গত ৩ বছর ফেরার থাকার
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং-এর (bimal gurung) অবস্থা মাওবাদী (maoist) নেতা কিষেণজির মতো। এমনটাই কটাক্ষ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (adhir chowdhury)। প্রসঙ্গত ৩ বছর ফেরার থাকার পর বুধবার কলকাতায় এসে বিমল গুরুম বলেন, ২০২১-এর নির্বাচনে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
দেশে বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা! সক্রিয় আক্রান্তের নিরিখে তৃতীয়,মৃত্যুতে চতুর্থস্থানে পশ্চিমবঙ্গ
মমতাকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বিমল গুরুং
প্রায় ৩ বছর ফেরার থাকার পর বুধবার বিকেলে কলকাতায় দেখে মেলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং-এর। তিনি বলেন, ছয় বছর ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেননি মোদী অমিত শাহরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের মানুষদের জন্য যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা রেখেছেন। এনডিএর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে, তিনি তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে চান বলে জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ২০২১-এর নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
কিষেণ বলেছিলেন ২০১১ সালে তিনি মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান
২০০৯-১০ সাল। উত্তপ্ত জঙ্গলমহল। প্রায় প্রতিদিনই সিপিএম কর্মী সমর্থকদের হত্যায় রক্তাক্ত হচ্ছে জঙ্গলমহল। মাওবাদীদের ছত্রছায়ায় থাকা পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটিও সেই সময় যথেষ্ট শক্তিশালী। আর জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের দমন করতে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। মাঝে মধ্যেই টিভি চ্যানেলে ফোন যাচ্ছে কিষেণজির। তিনি সেই সময় আজকের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুবই পছন্দ করেন। একবার তো তিনি বলেই ফেললেন, ২০১১ সালে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। ২০১১ -র নির্বাচনের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফেরার পর জঙ্গলে সংঘর্ষে মারা পড়ল কিষেণজি। মানবাধিকার সংগঠনগুলির তরফে কিষেণজিকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। কেননা সেই সময় তার পার্শ্বচররা পরবর্তী সময়ে তৃণমূলে যোগ দেয় কিংবা সরকারি চাকরি পায়।
অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ মমতাকে
অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা সময় জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের সঙ্গে আঁতাত করেছিলেন। কিষেণজিকে সঙ্গে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরেই, কিষেণজিকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীর চৌধুরী প্রশ্ন করেন, রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য আর কত নিচে নামবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অধীর চৌধুরী বলেন, উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি দুর্বল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেপালি ভোটকে কবজা করতেই ভয়ঙ্কর খেলা খেলছেন বলে অভিযোগ করেন।
অধীর চৌধুরী উল্লেখ করেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বাংলাকে ভাগ করে গোর্খাল্যান্ড হতে দেব না। সেই মুখ্যমন্ত্রীকে আজ পছন্দ হচ্ছে বিমল গুরুং-এর। যার একমাত্র অ্যাজেন্ডাই হল গোর্খাল্যান্ড। তিনি বলেন, যতই পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ততই তাঁর চঞ্চলতা বাড়ছে। তাঁর প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী কি গোর্খাল্যান্ডে বিশ্বাসী। নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোংরা খেলায় মেতেছেন বলেও অভিযোগ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত আসামীর ঘুরছেন প্রকাশ্যে
অধীর চৌধুরীর অভিযোগ একজন আসামী, তিনি ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত, যাঁকে ৩ বছর ধরে খুঁজছে রাজ্য প্রশাসন। সেই ব্যক্তিই কী করে প্রকাশ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। শুধু সাংবাদিক সম্মেলনই নয়, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতার কথাও জানাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই অবাক অধীর চৌধুরী।