এবার অধীর-মহলে হানা বিজেপির, বড় ভাঙন ধরিয়ে গেরুয়া শিবিরে কংগ্রেস নেতা
লোকসভা ভোট এগিয়ে আসছে। তার আগে কংগ্রেসকে এক বৃত্তে সংঘটিত করতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বদল করা হয়েছে। তবু রক্তক্ষরণ থামছে না কংগ্রেসে। খোদ অধীর গড়েই ভাঙন লেগে রয়েছে।
লোকসভা ভোট এগিয়ে আসছে। তার আগে কংগ্রেসকে এক বৃত্তে সংঘটিত করতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বদল করা হয়েছে। তবু রক্তক্ষরণ থামছে না কংগ্রেসে। খোদ অধীর গড়েই ভাঙন লেগে রয়েছে। এতদিন তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছিলেন নেতা-কর্মীরা। এবার গন্তব্য বিজেপিতেও। হুমায়ুন কবীরের পর অধীর ঘনিষ্ঠ অনুপম ঘোষও যোগ দিলেন বিজেপিতে।
কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে
প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক ছিলেন অনুপম ঘোষ। কংগ্রেসের সোশাল মিডিয়াপ ইনচার্জও ছিলেন তিনি। ফলে লোকসভার আগে তাঁর দলবদলে প্রদেস কংগ্রেস বড়সড় ধাক্কা খেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তারপর তিনি অধীর ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পিছনে অন্য গন্ধ পেতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তত্ত্ব
অনুপম বিজেপিতে যোগ দিয়েই জল্পনা বাড়ালেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে যদি কেউ সত্যিকারের লড়াই করে থাকেন, তিনি হলেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি কংগ্রেস একটু হলেও তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছে, তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতেই বিজেপিতে যোগ দিলাম। কেননা, রাজ্যে বিজেপিইউ প্রকৃত তৃণমূল বিরোধী শক্তি হয়ে উঠেছে।
তৃণমূল বিরোধী প্লাটফর্ম বিজেপি
বিজেপিই রাজ্যে তৃণমূল বিরোধী প্লাটফর্ম। কেননা কংগ্রেস এখন কিছুটা আপোশ করে চলছে। তৃণমূলের বিকল্প শক্তি হিসেবে মর্যাদা পাচ্ছে বিজেপি। বিজেপি পতাকা হাতে নিয়ে তিনি বলেন, আমি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই বিজেপিতে যোগ দিলাম। লোকসভায় মুর্শিদাবাদের মাটিতে পদ্মফুট ফোটানোর প্রয়াস চালাবেন তিনি।
অধীর চৌধুরীর অপসারণও দায়ী
সম্প্রতি অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছে সৌমেন মিত্র। অধীরকে পদ থেকে সরানোর পরই প্রদেতাঁপর অনুগামীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। তৈরি হয় সংঘাতও। তাই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন অনুপম। আরও অনেকে এই পথে পা বাড়াচে পারেন বলে, তাঁর হুঁশিয়ারি।
[আরও পড়ুন: বিরোধী শিবিরে জোর ধাক্কা, শুভেন্দুর হাতযশে ফের অধীর-গড়ে শক্তিবৃদ্ধি তৃণমূলের]