তপন কান্দু-আনিস খানের খুনের তদন্তে সিবিআই চাই! সংসদে তৃণমূলের তীব্র বাধার মধ্যেও সরব অধীর
পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংসদে সরব হলেন বহরমপুরের সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। শুধু তপন কান্দু খুনের ঘটনাই নয়, অধীর চৌধুরী
পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংসদে সরব হলেন বহরমপুরের সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। শুধু তপন কান্দু খুনের ঘটনাই নয়, অধীর চৌধুরী সংসদে সরব হন ছাত্র নেতা আনিস খানের খুনের ঘটনা নিয়েও। অধীর চৌধুরীর এই অভিযোগের সময় তৃণমূলের (Trinamool Congress) তরফ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়।
সোমবার ঝালদা সফরের কথা উল্লেখ
অধ্যক্ষ ওম বিড়লা অধীর চৌধুরীকে বলার অনুমতি দেওয়ার পরে, শুরুতেই তিনি বলেন, সোমবার তিনি সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি। কেননা তিনি গিয়েছিলেন ঝালদায়। সেখানে কংগ্রেসের নেতা তথা পুরসভার জনপ্রতিনিধিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অধীর চৌধুরী দাবি করেন, ঝালদায় কংগ্রেস পুরসভার বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ায় এগিয়ে ছিল। সেই কারণেই এই হত্যাকাণ্ড।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ
অধীর
চৌধুরী
অভিযোগ
করেন,
শাসক
দল
পুলিশের
একটা
অংশকে
সঙ্গে
নিয়ে
নির্মমভাবে
তপন
কান্দুকে
হত্যা
করেছে,
যাতে
তারা
সেই
পুরসভার
বোর্ড
দখল
করতে
পারে।
অধীর
চৌধুরী
অভিযোগ
করেন,
পশ্চিমবঙ্গে
নির্বাচন
চলাকালীন
এবং
নির্বাচন
পরবর্তী
সময়ে
হিংসা,
খুন,
দাঙ্গা,
রাহাজানি
নির্বিচারে
চলছে।
শাসকদল
এবং
পুলিশের
একটা
অংশ
মিলে
সন্ত্রাস
করছে
বলে
অভিযোগ
করেন
তিনি।
প্রসঙ্গত
তপন
কান্দুর
স্ত্রীর
অভিযোগের
পরে
তাঁর
ভাইপোর
সঙ্গে
অপর
এক
ব্যক্তির
কথোপকথনের
অডিও
ভাইরাল
হয়েছে
(সেই
অডিও-র
সত্যতা
যাচাই
করেনি
বেঙ্গলি
ওয়ানইন্ডিয়া)।
তপন
কান্দুর
ভাইপো
মিঠুন
কান্দুর
দাবি
অনুযায়ী
ফোনের
অপর
দিকে
থাকা
ব্যক্তি
ঝালদার
আইসি।
কাকাকে
তৃণমূলে
যোগ
দেওয়ার
জন্য
চাপ
দেওয়া
হয়েছে
বলেও
অভিযোগ
করেছেন
মিঠুন।
তবে
তৃণমূলে
যোগ
দিলেই
চেয়ারম্যানের
পগ
মিলবে
না।
ভাইস
চেয়ারম্যানের
পদ
মিলতে
পারে।
জানিয়েছিলেন
ঝালদার
আইসি।
কাকার
খুনের
ঘটনায়
পুলিশের
একটা
অংশ
জড়িত
বলে
অভিযোগ
করেছেন
মিঠুন।
আনিস খানের খুনের ঘটনা উল্লেখ
অধীর চৌধুরী হাওড়ার আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের খুনের ঘটনার কথাও এদিন সংসদে উল্লেখ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এক ছাত্র নেতা পুলিশ সরাসরি খুন করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, আজকের বাংলায় অরাজকতা বিরাজ করছে। তিনি আরও বলেন, হিংসা-সন্ত্রাসের এই বাংলায় রাজনীতি করার কোনও বাতাবরণ নেই। তিনি বলেন, গণতন্ত্র সেখানে ধর্ষিত, গণতন্ত্র লুণ্ঠিত। সেই কারণে বাংলায় স্বাধীনভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। একের পর খুন এই বাংলায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত দাবি
অধীর চৌধুরী এদিন সংসদে ঝালদার খুনের ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। এছাড়াও তিনি মানবাধিকার কমিশন, তফশিলি কমিশন, সংখ্যালঘু কমিশনের নাম উল্লেখ করে দাবি করেন ঝালদার তপন কান্দু এবং হাওড়ার আনিস খানের খুনের তদন্ত যেন সবাই অংশগ্রহণ করেন।
পঞ্জাব জয়ের পরে লক্ষ্য এক বড় রাজ্য! ভিত্তি শক্তিশালী করতে ঝাঁপাচ্ছে আপ