ভোটের পারদ ক্রমেই চড়ছে বাংলায়! মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ অধীরের
বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়িতে দলের সভায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপির সব থেকে বড় এজেন্ট হলেন অধীর চৌধুরী। এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ক্ষমতা থাকলে যে কোনও টিভি চ্যানেলে যেকোনও বিষয় নিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিতর্কে তৈরি।

বিজেপির সব থেকে বড় এজেন্ট অধীর
অধীর চৌধুরী রাজ্য বিজেপির সব থেকে বড় এজেন্ট। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ির সভায় তিনি বলেন, যাঁরা সাংসদ তারা জানেন, পিছনের দরজা দিয়ে অধীর চৌধুরী কতবার প্রধানমন্ত্রী কাছে যান, আর বিজেপি সাংসদদের চিরকুট দেন, পাড়ায় কী কী বলতে হবে। তাঁর দাবি, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিততে পারবেন না অধীর চৌধুরী। তাই বিজেপিকে সাহায্য।

মমতাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ
এই সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ক্ষমতা থাকলে যে কোনও টিভি চ্যানেলে যে কোনও বিষয় নিয়ে সামনাসামনি বিতর্ক চান তিনি। কোথায়, কবে, কোন চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রী বসতে চান, জানান।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে আক্রমণ
এদিন অধীর চৌধুরী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি নাম না করে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অ্যালসিসিয়ানদের সঙ্গে তুলনা করেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, অ্যালসিসিয়ানদের দিয়ে পিছন থেকে ভুক ভুক করিয়ে লাভ নেই।

তৃণমূলটাই উঠে যাবে বলেছিলেন অধীর
দিন কয়েক আগে অধীর চৌধুরী বলেছিলেন তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে। তৃণমূলকে ডুবন্ত জাহাজের সঙ্গে তুলনা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, এই দলটাই উঠে যাবে। কেননা সিপিএম বিরোধিতা করে জন্ম হয়েছিল তৃণমূলের। এখন তার আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। একইসঙ্গে কটাক্ষ করে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল দলটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্যান ক্লাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিড়ি বিজেপির কাছে পাতা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
পাশাপাশি অমিত শাহের ছেলেকে ফোন করা নিয়েও কটাক্ষ করেছিলেন অধীর চৌধুরী। প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, অমিত শাহ কলকাতা শহরে কেন মাস্ক ছাড়াই ঘুরছেন, তা নিয়ে তিনি জয় শাহকে ফোন করেছিলেন। অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেছিলেন, যে জয় শাহের ক্রিকেট বোর্ডের সচিব হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল, তাদেরই নেত্রী সেই ব্যক্তিকেই ফোন করছেন। এব্যাপারে অধীর চৌধুরী আরও বলেন, কয়লা পাচার নিয়ে সিবিআই বাড়িতে ঢোকার আগে থেকেই ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অধীর
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অধীর চৌধুরী। তিনি তখন বলেছিলেন, উনি(মমতা) তো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে কোনও আসন থেকে জয়ী হতে হয়। সাহস থাকলে বহরমপুর থেকে তাঁর (অধীর) বিরুদ্ধে যেন প্রার্থী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ওঁকে ছাড়ব না, কলকাতার রাজপথে তাঁর গাড়ি ঘুরবে না! রাজ্যপাল ধনখড়কে আর কী বললেন কল্যাণ