অধীরের হাত ধরে এবার কি প্রাক্তন পুরপ্রধানের ঘরওয়াপসি, তৃণমূলে ফের ভাঙন-জল্পনা
তৃণমূলে যোগ দিয়েও কংগ্রেস-ঘনিষ্ঠতা বারেবারে ধরা পড়েছে নীলরতন আঢ্যর। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। সম্প্রতি জেলা পরিষদের তৃণমূল সভাধিপতি মোশারফ হোসেন যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। ফলে জেলা পরিষদে তৃণমূলের প্রভাব কমতে শুরু করেছে। এবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে নিয়েও জল্পনা।

তৃণমূলে গুরুত্ব হারালেন একুশের নির্বাচনের আগে
বহরমপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন নীলরতন আঢ্য। সোমবার পুরসভার নয়া প্রশাসকের নাম ঘোষণা হয়। প্রশাসক হন নীলরতন আঢ্য বিরোধী বলে পরিচিত তৃণমূলনেতা প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান জয়ন্ত প্রামাণিক। ২০০২ সাল থেকে টানা চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। সেই তিনিই গুরুত্ব হারালেন একুশের নির্বাচনের আগে।

অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা!
নীলরতন আঢ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন মুর্শিদাবাদে। চার দশক ধরে তিনি বহরমপুর পুরসভার কাউন্সিলর। শেষ ১৮ বছর তিনি ছিলেন পুরপ্রধান। ২০১৮-র ডিসেম্বর থেকে তিনি পুর প্রশাসক পদে ছিলেন। তিনি সেই পদ থেকে সরে যেতেই তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে সরব ছিলেন তৃণমূল নেতারা।

কংগ্রেসের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ
লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে দেখা যায়নি। জেলা তৃণমূল সভাপতি ও বহরমপুর টাউন তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও খারাপ হতে থাকে। সৌমিক হোসেন ও অরিত্র মজুমদারের হাত ধের তৃণমূলের মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা করেন নীলরতন আঢ্য। কিন্তু সফল না হয়ে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করতে শুরু করেন।

অধীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, জল্পনায় প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান
সম্প্রতি তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অসম্মানের অভিযোগও করে। তিনি বলেন, তৃণমূলের কাছে থেকে তিনি যা অপমানিত হয়েছেন, সারা জীবনে এত অসম্মান আমাকে কোনওদিনও হয়ে হয়নি। মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মাঝে একদিন দেখা করেছিলেন।

তৃণমূল ছেড়ে কোন পথে পাড়ি, জল্পনায় নীলরতন
এখন দেখার নীলরতন আঢ্য আবার একুশের নির্বাচনের আগে পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরে আসেন কি না। তিনি তৃণমূল ছেড়ে কোন পথে পাড়ি দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। জেলার রাজনীতি অনুযায়ী তাঁর কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। তিনি সময়ে হলেও সংবাদমাধ্যমকে জানাবেন বিশদে।