মমতা বাংলার মাথা হেঁট করে দিয়েছেন, পঞ্চায়েত যুদ্ধ-শেষে কড়া ভাষায় তোপ অধীরের
নির্বাচনী সন্ত্রাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, মমতার প্রশাসন ব্যর্থ রাজ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে।
নির্বাচনী সন্ত্রাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মঙ্গলবার ভোট সন্ত্রাসে আহত কংগ্রেস নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে এসে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর প্রশাসন ব্যর্থ রাজ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে। এখন ব্যর্থতা ঢাকতে তিনি সাফাই গাইছেন, আগের নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করছেন এবারের ভোট সন্ত্রাসের।
অধীর চৌধুরী বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর বলা উচিত ছিল, রাজ্যের ভোটে খুন হবে, তবে এবার খুন-জখম একটু কম হবে। ভাই, তোমরা কিছু মনো কোরো না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা বলেননি। বরং আমরা যেটা আশঙ্কা করেছিলাম, তা-ই হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট রক্তাক্ত হয়েছে। রক্তস্নাত পঞ্চায়েত ভোট কে়ড়ে নিয়েছে তাজা প্রাণ। আর রাজ্যে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে।
[আরও পড়ুন:'ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে'- নয়া ক্যাপশন উসকে দিল গোপন আঁতাত, বামে বিদ্ধ মোদী-মমতার ]
এদিন নির্বাচনে লাগাতার খুন, জখম, ভোট লুঠ, সন্ত্রাস, মারামারি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশ একযোগে আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশের ভূমিকা সঠিক ছিল না। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন রক্তাক্ত হওয়া থেকে আটকানো গেল না এবার। রাজ্যের এই ভোটচিত্রে বাংলার মানুষ হিসেবে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।
দেশের বুকে বাংলার মাথা হেঁট করে দেওয়ার জন্য তিনি ধিক্কার জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, এই খুন, রক্তপাত, সন্ত্রাসের কি কোনও প্রয়োজন ছিল। কোন দলের কত জনের মৃত্যু হল সেটা বড় কথা নয়, ভোট করতে গিয়ে মানুষ মারা গেল এটাই লজ্জা। মানুষের প্রাণ চলে গেল এটাই আক্ষেপের।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার সুনিশ্চিত করতে আমরা হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের আবেদন মাঠে মারা গিয়েছে। আদালতও দেখেছে, বোমা-বারুদের গন্ধে ভোট হয়েছে। মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আর পুলিশ-প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ তা রুখতে। এই সন্ত্রাসের ভোটের পর নবান্নে রাজ্য পুলিশের ডিজির মন্তব্য সত্যিই দুঃখজনক। নবান্ন যা শিখিয়ে দিচ্ছে, তাই বলছেন ডিজি। ডিজি শাসক দলের ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে।
[আরও পড়ুন:নির্দল কাঁটা তুলতে কড়া হলেন মমতা, পঞ্চায়েত ভোটের পর 'সুযোগসন্ধানী'দের স্পষ্ট বার্তা ]