‘পাহাড় দখলই মমতার মূল টার্গেট, তাই জট কাটছে না’, বিস্ফোরক অধীর
‘ডোকলাম সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে, আর পাহাড় সমস্যার সমাধান হবে না। আসলে পাহাড় সমস্যা সমাধানের সঠিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।’
ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পাহাড় সমস্যার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের তির ছুড়ে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় দখলের স্বপ্ন দেখেছিলেন। একটার পর একটা ভুল পদক্ষেপ নিয়ে গিয়েছেন। সেই কারণেই ফের পাহাড়ে উঠেছে গোর্খাল্যান্ডের দাবি।'
মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় নীতির সমালোচনা করার পাশাপাশি অধীর চৌধুরী উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহে এক অনুষ্ঠানে বলেন, 'পাহাড় আর সমতল নিয়েই এই বাংলা। বাংলার মানচিত্র থেকে সেই বৈশিষ্ট্য কেউ মুছে ফেলা যাবে না। তাই অবিলম্বে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হবে। সেখানেও কেনও দ্বন্দ্ব নেই, দ্বিধা নেই।'
অধীরবাবু এদিন বলেন, 'ডোকলাম সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে, তাহলে পাহাড় সমস্যার সমাধান হবে না কেন? আসলে পাহাড় সমস্যা সমাধানের সঠিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এই সমস্যা জিইয়ে রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার- কেউই পাহাড় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এগিয়ে আসছে না। সবাই-ই রাজনৈতিক সমীকরণের কথা ভাবছে সবার আগে।'
অধীরবাবুর কথায়, ২০১২ সালের শেষ হয়ে গিয়েছিল গোর্খাল্যান্ড ইস্যু। পাহাড়ে নিজের অধিকারবোধ কায়েম করতে গিয়ে সেই ইস্যুকে ফের সামনে এনে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মাশুল গুণতে হচ্ছে পাহাড়বাসীকে। পুজোয় পর্যটনের মরশুমেও পর্যটকহীন পাহাড়। প্রাণোচ্ছ্বল পাহাড়ে আজ কান পাতলেই হাহাকার শোনা যাচ্ছে। তিনমাস হয়ে গেল বনধে শুনশান পাহাড়। এই সময় থেকেই পাহাড়ে ৪০-৫০ লোক আসেন, সেই ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা আজ পাহাড়বিমুখ। পাহাড়ের অর্থনৈতিক অবস্থা পুরো শেষ করে দিয়েছে এই সরকার।
এদিন বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে মামলা করা নিয়েও রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনা করেন অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মোর্চার মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বিনয় তামাংকে নিজেদের দিকে টানতে চাইছেন। তাই নতুন করে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।