এখন সতী-সাবিত্রী সাজছেন মমতা, বাংলায় গণতন্ত্র ধর্ষিত দেখছেন কি, প্রশ্ন অধীরের
কর্ণাটকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে মোদী-বিরোধী ঐক্যের বার্তা দিচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, তখন রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্য
কর্ণাটকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে মোদী-বিরোধী ঐক্যের বার্তা দিচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, তখন রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। মেদিনীপুরের সদর ব্লকে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর হাতে আক্রান্ত কবিতা দাসের বাড়িতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, সতী-সাবিত্রীর সেজে বাংলার গণতন্ত্রকে খুন করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিচারিতা করছেন। দিল্লি-বেঙ্গালুরুতে গিয়ে সতী-সাবিত্রী সাজছেন। আর এ রাজ্যে গণতন্ত্রকে খুন করে চলেছেন। তাঁর রাজত্বে নিত্যদিন গণতন্ত্র ধর্ষিত হচ্ছে। গণতন্ত্রকে পদদলিত করছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাই, আপনি স্পষ্ট করে বলুন, গণতন্ত্র চান নাকি স্বৈরতন্ত্র।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য ২০১৯-এ বিজেপি নিধন, সিপিএমও যে ব্রাত্য নন ইয়েচুরি সকাশে দেখালেন মমতা]
অধীরের কথায়, মা-মাটি-মানুষের সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই বিপদ। রাজ্যে মা-বোনেদের কোনও ইজ্জত নেই। তাঁদের মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যতই আপনি বাংলার বাইরে গিয়ে সতী-সাবিত্রী সাজুন, বাংলায় আপনার স্বরূপ প্রকাশ হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভোটের দিন তৃণমূলের ছাপ্পার প্রতিবাদ করায় ভোটের ফলপ্রকাশের পর তৃণমূলকর্মীরা কবিতা দাসের বাড়িতে চড়াও হন। তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে জুতোর মালা পরিয়ে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়। তারপর ৩০০ বার কান ধরে উঠবোস করানো হয়। কেউ এই ঘটনায় প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত দেখাননি। ঘটনার পর থেকেই গৃহবন্দি কবিতাদেবী। এদিন তাঁকেই দেখতে যান অধীর চৌধুরী।
[আরও পড়ুন:জোট রাজনীতিই ভবিষ্যৎ, কুমারস্বামীর শপথে পরতে পরতে বোঝালেন মমতা-রাহুলরা]
তিনি প্রশ্ন তোলেন, কবিতাদেবীরা কাকে ভোট দেন, কোন দলের সমর্থক আমাদের দেখার দরকার নেই। কোন অপরাধে তাঁকে এই শাস্তি পেতে হল তা জানতে চাই আমরা। এই প্রশ্ন আমার বাংলার মা মাটি মানুষের সরকারের কাছে। এই ঘটনা রাজ্যের আবেগকে কলুষিত করেছে। তাই আমরা এর বিচার চাই। আমরা কবিতাদেবীর পরিবারের পাশে আছি। এর জন্য যতদূর যাওয়া দরকার, ততদূর যাব। এই ঘটনা পুরো নারী সমাজকে অপমান করেছে। বিবেকের তাড়নাতেই আমরা আজ এখানে এসেছি। কবিতাদেবীর পাশে দাঁড়িয়ে সুবিচারের দাবি জানাচ্ছি।