ভোটের আগেই বিয়েটা সেরে ফেলেছেন অধীর! মনোনয়নের হলফনামায় ফাঁস সত্যি
রাজনীতিতে বর্ণময় চরিত্র অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও যে কম বর্ণময় ছিল না, তা এতদিন পর পরিস্ফুট হল। দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রী অর্পিতার সঙ্গে বনিবনা ছিল না।
রাজনীতিতে বর্ণময় চরিত্র অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও যে কম বর্ণময় ছিল না, তা এতদিন পর পরিস্ফুট হল। দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রী অর্পিতার সঙ্গে বনিবনা ছিল না। আলাদা থাকতেও শুরু করেছিলেন। তারপর পৃথিবী ছেড়ে চলেই গেলেন অর্পিতা। আর তারপরই প্রকাশ্যে এল অদীর চৌধুরীর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম।
অধীরের দ্বিতীয় স্ত্রী
বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী নিজেই জানালেন সে কথা। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন তাঁর স্ত্রীর নাম। সেখানে জ্বলজ্বল করছে নাম অতসী চট্টোপাধ্যায় চৌধুরী। স্ত্রীর নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাবও তিনি তুলে ধরেছেন। লোকসভা ভোটের মুখেই তিনি কৌতুহলের সব পর্দা সরিয়ে দিলেন।
অধীরের সাফাই
আর এ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী সাফ জানিয়েছেন, আমি তো কোনও কিছুই গোপন করিনি। সবকিছুই সবার সমক্ষে তুলে ধরেছি। যা সত্যি তাই বলেছি। রাজনীতির মঞ্চে ব্যক্তিগত যা যা প্রকাশ্যে আনার চা এনেছি। অতসী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছি সমাজিকভাবেই। তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে হলফনামায়। তা নিয়ে কটাক্ষ করতে অবশ্য ছাড়েননি তিনি। বলেন, সত্যিই বর্ণয় চরিত্র অধীর চৌধুরীর।
অধীরের জীবনে অর্পিতা
উল্লেখ্য, অর্পিতার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গোরাবাজারের চৌধুরী ভিলা ছেড়ে তিনি কাশিমবাজারের একটি বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। অর্পিতার বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও করেন। এরপর বেশকিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন অর্পিতা। শেষপর্যন্ত ৪৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি। তখন থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা চলছিল।
অধীরের ব্যক্তিজীবন কি প্রচারে
এবার বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি। এতদিন পর্যন্ত বহরমপুর তথা মুর্শিদাবাদ ছিল কংগ্রেসি-দুর্গ। অধীরের এই গড়ে কারও দাঁত ফোটানোর সাহস ছিল না। বাম আমলেও অধীর ছিলেন শেষ কথা, তৃণমূল আমলেও। কিন্তু সম্প্রতি তৃণমূল দাঁত ফোটাতে শুরু করেছে, এখন দেখার অধীরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভোট-প্রাচারে কোনো খোঁটা দেয় কি না বিরোধীরা।