আমার বাপ-ঠাকুর্দা বাংলাদেশের, ক্ষমতা থাকলে আমাকে ওদেশে পাঠাক, চ্যালেঞ্জ অধীর চৌধুরীর
বিজেপির ক্ষমতা থাকলে আমাকে বাংলাদেশে পাঠাক। তাহলেই বুঝব বিজেপির ক্ষমতা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিতর্কে এবার এই ভাষাতেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ তথা কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। তিনি মুর্শিদাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়েই গর্জে উঠলেন মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্র। তিনি এদিন একা মোদীকে নন, মমতাকেও নিশানা করেন একযোগে।

মোদীকে একহাত অধীর চৌধুরীর
নাগরিকত্ব ও সংশোধনী আইন বিতর্কে এদিন মোদীকে একহাত নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, বিজেপির ক্ষমতায় থাকলে আমাকে বাংলাদেশে পাঠাক। আমি সগর্বে ঘোষণা করছি আমার বাবা-ঠাকুরদা উভয়েই বাংলাদেশের মানুষ। এরপর আমাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেখাক বিজেপি। মোদী-শাহকে এভাবেই ওপেন চ্যালেঞ্জ দেন অধীর।

বিজেপি ধর্মের নামে দেশ চালাতে চাইছে
লালগোলার এম এন অ্যাকাডেমির স্কুল মাঠে বিজেপিকে নিশানায় অধীর চৌধুরী বলেন, বিজেপি ধর্মের নামে দেশ চালাতে চাইছে। বাকি সম্প্রদায়ের সঙ্গে মুসলমানকে আলাদা করে দিতে চাইছে বিজেপি। বিভাজনের নীতি গ্রহণ করেছে তারা। মোদী-শাহকে নিশানায় তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে ভারতবর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ সাধারণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি দেশে। মানুষের এই বিশ্বাস ভেঙে দিতে চাইছে তৃণমূল।

মমতাকে রাজধর্ম কটাক্ষ অধীর চৌধুরীর
অধীর এদিন নিশানা করেন মমতাকেও। মমতাকে বিঁধে অধীর চৌধুরী বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন রাজধর্ম পালন করা উচিত। তাঁর মুখে এই কথা শুনে খুন ভালো লাগল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যদি আগে এই রাজধর্ম পালন করতেন তাহলে বাংলায় বিজেপি এত বাড়ত না।

বাংলায় বিজেপি জিতছে মমতার জন্যই
অধীর বলেন, বাংলায় বিজেপি ১৮টি আসনে জিতছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই। তাই দিদিকে বলব, আর দেরি না করে আপনি রাজধর্ম পালন করতে শুরু করুন। অধীরের কথায়, বাংলায় বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আপনি ভোট করেছেন। বিজেপির জমানায় আপনি মন্ত্রীও ছিলেন।

নীতি-আদর্শ থাকলে ক্ষমা চান মমতা
অধীরের কথায়, যদি এতটুকু নীতি-আদর্শ থাকে বাংলার তৃণমূল দলটার মধ্যে তাহলে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। বলুন, বিজেপির সঙ্গে জোট করে আপনি অন্যায় করেছিলেন। উল্লেখ্য, মমতা পার্ক সার্কাসের ময়দানের সভায় বলেন, এখন অটলবিহারী বাজপেয়ী বেঁচে থাকলে রাজধর্ম পালনের কথা বলতেন নরেন্দ্র মোদীকে।
CAA বিরোধী বিক্ষোভে মৃতদের ক্ষতিপূরণ দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড থেকে কর্ণাটক সরকারের