এই দুঃস্বপ্নের রাজত্ব দেখতে হবে মমতাকেও! অধীর বললেন- ‘এক মাঘে শীত যায় না’
শুভেন্দু বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েতের বার্তা দিয়েছেন। আর তার ফলস্বরূপই শনিবার কান্দিতে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের মিছিলে তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলা অন্যতম টার্গেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই লক্ষ্যপূরণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাপতি করে এই জেলায় পাঠিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। শুভেন্দু বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েতের বার্তা দিয়েছেন। আর তার ফলস্বরূপই শনিবার কান্দিতে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের মিছিলে তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এর পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, 'তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীশূন্য করতে যে অবস্থান নিয়েছে আমরা তার বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিলাম। কিন্ত আদালতের নির্দেশের পরও তৃণমূল কর্তৃক একইরকম বাধাদান অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় তৃণমূলী বাধার মুখে পড়ে কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা না দিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হলেন।'
অধীর চৌধুরী বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান মুর্শিদাবাদ দখল করতে। যে কোনওভাবে যে কোনও মূল্যে ভোটে জয়লাভ করতে হবে, এটাই লক্ষ্য তাঁর। এবার ভোটে হয়তো তিনি জয়লাভ করবেন। কারণ আমরা জেলা পরিষদে কোনও প্রার্থীই দিতে পারিনি। আমাদের প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মনে রাখবেন এক মাঘে শীত যায় না। আরও অনেক নির্বাচন আছে। আর আপনাকেও একদিন এই দুঃস্বপ্নের রাজত্ব দেখতে হবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়!'
এদিন অধীর চৌধুরী নিজে উপস্থিত ছিলেন এই মিছিলে। তিনি অভিযোগ করেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পিতভাবে তাঁদের মিছিলে হামলা করে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগেই তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। অস্ত্র, বোমা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এই বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে গেলে আমাদেরও সম্মুখ সমরে নামতে হবে। কিন্তু তা আমরা চাই না।'
অধীরবাবু বলেন, 'এদিন আমাদের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আমাকে মারা হয়নি চক্ষুলজ্জার খাতিরে। কারণ আমি এলাকার সাংসদ। আমার সামনে আসতে হয়তো কুণ্ঠা হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যে বেছে বেছে কিছু ব্লকে মনোনয়ন দিতে দেওয়া হচ্ছে। এটা পুরোপুরি পূর্ব পরিকল্পিত। এর জবাব ঠিকই দেবেন বাংলার মানুষ। আর তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।'