২০২১-এর লক্ষে তৎপরতা বিজেপিতে! নাম ঘোষণার পরের দিনই কাজ শুরু করে দিলেন ৫ নেতা
মঙ্গলবার বিজেপির(bjp) ঘোষণা করা হয়েছিল পাঁচ নেতাকে পাঁচটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাতের মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ওই পাঁচ নেতা। আর এদিন সকাল থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছেন উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা থেকে আসা সংগঠনের কাজে দক্ষ বলে পরিচিত নেতারা।

পাঁচ জোনের দায়িত্বে দেওয়া হয় পাঁচ নেতাকে
মঙ্গলবার বিজেপির তরফে পাঁচটি জোনের দায়িত্ব পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। মেদিনীপুর জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয় সুনীল দেওধরকে। তাঁর জোনের মধ্যে রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলা। রাঢ় বঙ্গ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিজেপির এসসি মোর্চার নেতা বিনোদ সোনকরকে। এই জোনে রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম। এউত্তরবঙ্গ জোনে রয়েছে উত্তরবঙ্গের আট জেলা নিয়ে গঠিত উত্তরবঙ্গ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশের নেতা হরিশ দ্বিবেদীকে। কলকাতার জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয় হরিয়ানার নেতা দুষ্মন্ত গৌতমকে। এই জোনের মধ্যে রয়েছেন, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশ। আর নবদ্বীপ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিনোদ তাউড়েকে। এই জোনে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, এবং উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশ।

তৎপরতা শুরু হয়েছে বুধবার থেকেই
এদিন সকাল থেকেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায় জেলায়। এদিন সকালে শিলিগুড়িতে বৈঠক করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। দুর্গাপুরে বৈঠকে বসেন, রাঢ়বঙ্গ জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিনোদ সোনকার। অন্যদিকে মেদিনীপুর জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুনীল দেওধর উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরে সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন। নবদ্বীপ জোনের দায়িত্বে থাকা বিনোদ তাউড়ে রানাঘাটে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। কলকাতা জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দুষ্মন্ত গৌতম পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বৈঠক করেন।

তিনদিন বৈঠকের পর রিপোর্ট দিল্লিতে
বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার, এই তিনদিন ধরে পাঁচটি জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা দলের সংগঠন নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। জেলায় জেলায় ঘুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের মুখোমুখি কথা বলবেন। এরপর তাঁরা রিপোর্ট তৈরি করে পাঠাবেন দিল্লিতে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ।

২ দিন আসবেন অমিত শাহ, ৩ দিন নাড্ডা
এবার থেকে ভোট পর্যন্ত প্রতিমাসে অন্তত ২ দিন রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ। এই মাসে অমিত শাহ একবার রাজ্যে ঘুরে গিয়েছেন। আগামী ৩০ নভেম্বর তিনি ফের রাজ্যে আসতে পারেন বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, জেপি নাড্ডা গতমাসে উত্তরবঙ্গ সফর করে গিয়েছেন। এমাসে তাঁর আসার অপেক্ষায় রাজ্যের বিজেপি নেতা কর্মীরা।

তৃণমূলের কটাক্ষ
এদিকে অন্য রাজ্যের বিজেপি নেতাদের রাজ্য সফরকে কটাক্ষ করেছে শাসক তৃণমূল। তারা বলছে, বহিরাগতদের নিয়ে এসে রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূলের মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, এই অশান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা যেভাবেই হোক রুখতে হবে।

তৃণমূলের 'নন্দ ঘোষ’ প্রশান্ত কিশোর ঢাল বিজেপি-যোগের, বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ