হাঁসখালিতে খুন কর্মী, অভিযুক্ত কারা, কী বলছে তৃণমূল
নদিয়ার হাঁসখালিতে সক্রিয় তৃণমূলকর্মী আলিবুদ্দিন মণ্ডল খুনে যুক্ত স্থানীয় সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব। এমনটাই অভিযোগ করল জেল তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা সিপিএম সম্পাদক।
নদিয়ার হাঁসখালিতে সক্রিয় তৃণমূলকর্মী আলিবুদ্দিন মণ্ডল খুনে যুক্ত স্থানীয় সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব। এমনটাই অভিযোগ করল জেল তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা সিপিএম সম্পাদক।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ নদিয়ার হাঁসখালি থানার বড় চুপড়িয়ার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন এলাকার সক্রিয় তৃণমূলকর্মী আলিবুদ্দিন। দোকানে চা খেয়ে বাড়ির পথে পা বাড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সময় আলিবুদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। প্রথমে ঘাড়ে গুলি লাগে আলিবুদ্দিনের। পরে রাস্তায় লুটিয়ে পড়সে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমাও ছোঁড়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আলিবুদ্দিনকে চুপড়িয়া থেকে বগুলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান রানাঘাট উত্তর-পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পোদ্দার। খুনের পিছনে সিপিএম ও বিজেপি জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
দিন দুয়েক আগেই নদিয়ার গাংনাপুরে খুন হন এক তৃণমূল নেতা। এর কয়েকমাস আগে হাঁসখালিতে খুন হন বগুলা ১ পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের দুলাল বিশ্বাস। সেই সময়ও খুনের পিছনে সিপিএম রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল।
এদিকে, আলিবুদ্দিনের খুনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার সকাল থেকে থমথমে নদিয়ার হাঁসখালি। পুলিশের অনুমান, পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে আলিবুদ্দিনকে। খুনের কারণ রাজনৈতিক না ব্যক্তিগত, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।