স্কুল গেটে দুর্ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার, তবু রোষের আগুনে জ্বলছে পুলিশ ফাঁড়ি
স্কুলের সামনে স্টান্টবাজিতে পড়ুয়া-সহ চারজনকে পিষে দেওয়ার ঘটনায় বুধবারও জ্বলছে রসপুঞ্জ। পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় জনতা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৮ জানুয়ারি : অভিযুক্ত ধরা পড়ার পরও রোষে ফুঁসছে বিষ্ণুপুরের রসপুঞ্জ। দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দু'দিনেরও বেশি। তবু রোষ কমেনি। সমানে অবরোধ চলছে। স্কুলের সামনে স্টান্টবাজিতে পড়ুয়া-সহ চারজনকে পিষে দেওয়ার ঘটনায় বুধবারও জ্বলছে রসপুঞ্জ। পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় জনতা।
অবরোধেকারীদের দাবি ছিল অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে ঘাতক গাড়ির চালক সিরাজুল ইসলাম ওরফে কালুকে। কালুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্কুলের সামনে নিত্যদিন সে ছাত্রীদের উত্যক্ত করত, বাইক নিয়ে স্টান্টবাজি চালাত। আর ওইদিন বাবার এসইউভি গাড়ি নিয়ে 'স্টান্টবাজি' চালাতে গিয়ে পিষে দেয় চারজনকে। তখন থেকেই জ্বলছে রসপুঞ্জ।
ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে পুলিশের দিকে। কেন ৪৮ ঘণ্টা লেগে গেল বেপরোয়া ওই চালককে গ্রেফতার করতে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় বলেই এই সাঙ্ঘাতিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল এদিন। সেই অভিযোগেই এদিন রসপুঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায় গ্রামবাসীরা। ফাঁড়ি থেকে আসবাবপত্র, নথি বের করে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। পুলিশকে হটিয়ে দিয়ে এরপর ফাঁড়িতেও আগুন লাগানো হয়।
এলাকায় কোনও পুলিশ কর্মী নেই। তাই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। বিক্ষোভ উত্তরোত্তর বাড়ছে। এখন বিক্ষোভকারীদের দাবি, ট্রাফিক ব্যবস্থার সুচারু বন্দোবস্ত করতে হবে। নিশ্চত করতে হবে, এমন ধরনের দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে। সব মিলিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দু'প্রান্তে আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে।