কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র এবার কার দখলে! ভোটের আগে সমীক্ষায় স্পষ্ট আভাস
বাংলায় এবার ভোট হচ্ছে সাত দফায়। প্রথম দফায় ভোট হচ্ছে দুটি কেন্দ্রে। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র থেকে এবার বাংলায় ভোট যুদ্ধের সূত্রপাত হতে চলেছে।
২০১৯-এর লোকসভা যুদ্ধ শুরুর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে মানুষ। টান টান উত্তেজনার মধ্যে এবার ভোট পেয়েছে একেবারে অন্যমাত্রা। বাংলায় এবার ভোট হচ্ছে সাত দফায়। প্রথম দফায় ভোট হচ্ছে দুটি কেন্দ্রে। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র থেকে এবার বাংলায় ভোট যুদ্ধের সূত্রপাত হতে চলেছে। এরই মধ্যে দুই কেন্দ্রের সম্ভাব্য ফল নিয়ে আভাস মিলেছে বেশ কিছু সমীক্ষায়। এবিপি-এসি নিয়েলসনের সমীক্ষায় উঠে এসেছে কোচবিহার কেন্দ্রের সম্ভাব্য ফল।
২০১৪ নির্বাচনের ফল
২০১৪ সালে কোচবিহার কেন্দ্র থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের রেণুকা সিনহা। তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের দীপককুমার রায়কে ৮৭,১০৭ ভোটে হারিয়েছিলেন। তৃতীয় হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী হেমচন্দ্র বর্মন। তিনি পেয়েছিলেন ২,১৭,৬৫৩ ভোট। আর কংগ্রেস প্রার্থী কেশবচন্দ্র রায়ের প্রাপ্ত ভোট ৭৪,৫৪০।
২০১৬ উপনির্বাচনের ফল
২০১৬ উপনির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের পার্থপ্রতীম রায়। তিনি বিজেপির হেমচন্দ্র বর্মনকে চার লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৭,৯৪,৩৭৫ ভোট। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন ৩,৮১,১৩৪ ভোট। তৃতীয় ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী নৃপেন্দ্রনাথ রায় পেয়েছিলেন ৮৭,৩৬৩ ভোট। আর কংগ্রেস প্রার্থী পার্থপ্রতীম ইসর পেয়েছিলেন ৩৩, ৪৭০ ভোট।
২০১৯-এ কারা প্রার্থী
এবার সিটিং এমপিকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। বিজেপির প্রার্থী তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নিশীথ প্রামাণিক। ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী গোবিন্দ রায় ও কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রিয়া রায়চৌধুরীকে।
সমীক্ষার ফল একনজরে
এবিপি-এসি নিয়েলসনের সমীক্ষায় আভাস এই কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলেই থাকতে পারে। এই সমীক্ষায় সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে দেখানো হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারীকে। এবার এই কেন্দ্রে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হবে ফরওয়ার্ড ব্লক, বিজেপি হবে তৃতীয়। তবে জয়ের ব্যবধান থাকবে স্বল্পই। দ্বিতীয় ও তৃতীয়ের মধ্যেই ব্যবধান থাকবে সামান্যই।
ভোট শতাংশে কে কত
এবিপি-এসি নিয়েলসনের সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল পেতে পারে ৩৪ শতাংশ ভোট, বিজেপির প্রাপ্ত ভোট হতে পারে ২৭ শতাংশ। বামফ্রন্টের প্রাপ্ত ভোট ২৯ শতাংশ। আর কংগ্রেস প্রার্থীর এই কেন্দ্রে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা। অন্যান্যরা পাবেন ৫ শতাংশ।