বেপরোয়া চালকের ‘স্টান্টবাজি’তেই সাঙ্ঘাতিক দুর্ঘটনা ! গ্রেফতারের দাবিতে অবরোধ চলছে
স্কুলের সামনে ‘স্টান্টবাজি’ করতে গিয়েই কি ঘটে গেল সাঙ্ঘাতিক দুর্ঘটনা! স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই যুবক বাইক নিয়ে প্রায়ই স্কুলের গেটের সামনে টিফিন বা ছুটির সময় স্টান্টবাজি চালাত।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৭ জানুয়ারি : স্কুলের সামনে 'স্টান্টবাজি' করতে গিয়েই কি ঘটে গেল সাঙ্ঘাতিক দুর্ঘটনা! স্থানীয় বাসিন্দারা এমনই দাবি করছেন। তাঁদের অভিযোগ ওই যুবক বাইক নিয়ে প্রায়ই স্কুলের গেটের সামনে টিফিন বা ছুটির সময় স্টান্টবাজি চালাত। উত্যক্ত করত ছাত্রীদের। এদিনও সেভাবেই বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ডেকে আনল দুর্ঘটনা। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে দফায় দফায় অবরোধ চলছে মঙ্গলবারও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শেখ কালু নামে ওই যুবক নিয়ম করে স্কুলের সামনে দৌরাত্ম করত। গাড়ি চালাত রূদ্ধশ্বাস গতিতে। এ জন্য কালুর অভিভাবকরাও কম দায়ী নয়। আগে বাইক নিয়ে স্টান্টবাজি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এখন আবার স্করপিও গাড়ি নিয়ে সেই স্টান্টবাজি চালাত। স্থানীয়দের প্রশ্ন, অভিভাবকরা কী করে ওইটুকু একটা ছেলের হাতে গাড়ি ছেড়ে দিল?
স্থানীয়রা অভিযুক্ত শেখ কালুকে গ্রেফতারের পাশাপাশি, তার অভিভাবকদেরও শাস্তি দাবি করেন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতেই এদিন সকাল থেকে অবরোধ চলে। উল্লেখ্য সোমবার স্কুল ছুটির সময় বহু ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের ভিড়ের মাঝখানে গাড়ি নিয়ে বেপরোয়াভাবে ঢুকে পড়ে কালু।
এলোপাথাড়ি ধাক্কা দিতে থাকে স্কুল ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ পথচারীদের। এই ভয়াবহ ঘটনায় জখম হন সাতজন স্কুল পড়ুয়া, অভিভাবক ও পথচারী। তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে দু'জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি দু'জনের চিকিৎসা চলছে।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। উত্তেজিত জনতা ঘাতক গাড়িটিতে ভাঙচুর চালায়। জনতা এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে যায় যে, পুলিশের হাত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে। পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। পুলিশের লাঠিচার্যের ফলে বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন।
দুর্ঘটনার পরই রটে যায়, এই দুর্ঘটনায় ছ'জন স্কুল প়ড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্য চারজন পড়ুয়া রয়েছে। আরও সাতজন স্কুল পড়ুয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর জানা যায়, ছ'জন নয়, মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। বাকি চারজনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।