অ্যাম্বুল্যান্সে চিকিৎসকের বদলে এসি মেকানিক! কলকাতায় আসার পথে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
অ্যাম্বুল্যান্সে চিকিৎসকের বদলে এসি মেকানিক। এর জেরেই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা কিশোর রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল পূর্ব যাদবপুরের বেসরকারি হাসপাতাল চত্বর। পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
অ্যাম্বুল্যান্সে চিকিৎসকের বদলে এসি মেকানিক। এর জেরেই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা কিশোর রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল পূর্ব যাদবপুরের বেসরকারি হাসপাতাল চত্বর। পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে অসুস্থ ছিল বীরভূমের নলহাটির নসিপুরের বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অরিজিৎ দাস। বৃহস্পতিবার অরিজিৎকে নলহাটি থেকে বর্ধমানে রেফার করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় অরিজিৎকে বৃহস্পতিবারেই বর্ধমানের নার্সিংহোম থেকে কলকাতায় আনা হয়। কিন্তু আনার পথেই অ্যাম্বুল্যান্সে মৃত্যু হয় অরিজিতের। বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সে ব্যবস্থা থাকলেও তা ব্যবহার করা হয়নি।
মৃত
অরিজিৎ
দাসের
পরিবারের
অভিযোগ
বর্ধমানের
২
নম্বর
জাতীয়
সড়কের
ধারে
নবাবহাটের
গড়
মোড়ের
অন্নপূর্ণা
নার্সিংহোমের
বিরুদ্ধে।
অরিজিতের
বাবা
পেশায়
হোমিওপ্যাথি
চিকিৎসক
জানিয়েছেন,
অ্যাম্বুল্যান্সে
ডাক্তার
দেওয়ার
নাম
করে
তাঁদের
কাছ
থেকে
৮
হাজার
টাকা
এবং
অ্যাম্বুল্যান্স
ভাড়া
বাবদ
আরও
১৬
হাজার
টাকা
নেওয়া
হয়েছিল।
তাঁকে
প্রথমে
অ্যাম্বুল্যান্সে
উঠতে
দেওয়া
হয়নি
বলেও
অভিযোগ।
কিন্তু
অ্যাম্বুল্যান্সে
ডাক্তার
হিসেবে
যাকে
পাঠানো
হয়েছিল,
বাইপাসের
হাসপাতালে
তাঁর
পরিচয়
প্রকাশ
হয়ে
পড়ে।
অভিযুক্ত
যুবক
সরফরাজউদ্দিন
শেখ
জানায়,
সে
পেশায়
এসি
মেকানিক।
হাসপাতাল
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
অ্যাম্বুল্যান্স
চালক
কিংবা
অপর
যে
ব্যক্তি
অ্যাম্বুল্যান্সে
ছিলেন
তাঁরা
কেউই
অক্সিজেনের
পরিমাপ
জানতেন
না।
ফলে
রাস্তায়
রোগীর
অবস্থার
অবনতি
হলেও,
সরফরাজউদ্দিন
শেখ
কিংবা
গাড়ির
চালক
কেউ
কিছু
করতে
পারেননি।
পূর্ব
যাদবপুর
থানার
অধীন
বেসরকারি
হাসপাতালে
নিয়ে
যাওয়ার
পর
কিশোর
অরিজিৎ
দাসকে
মৃত
বলে
ঘোষণা
করা
হয়।
ঘটনার
পরেই
বর্ধমানের
নার্সিংহোম,
অ্যাম্বুল্যান্স
চালক
এবং
অ্যাম্বুল্যান্সে
আসা
সরফরাজউদ্দিন
শেখের
বিরুদ্ধে
পূর্ব
যাদবপুর
থানায়
অভিযোগ
দায়ের
করে
অরিজিতের
পরিবার।
পরে
গ্রেফতার
করা
হয়
অ্যাম্বুল্যান্স
চালক
এবং
সরফরাজউদ্দিন
শেখকে।
বর্ধমানের
অভিযুক্ত
নার্সিংহোমের
বিরুদ্ধে
তদন্ত
শুরু
করেছে
পুলিশ।